কক্সবাজারে মাদক শনাক্তে পরীক্ষাগার, হচ্ছে মাদক কারবারিদের তালিকা


ইয়াবা ও ক্রিস্টাল মেথের (আইস) মতো ভয়ংকর মাদক চোরাচালানের প্রধান রুট কক্সবাজার। মিয়ানমারের সীমান্ত পেরিয়ে এসব মাদক এখান থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
সম্প্রতি প্রায় প্রতিদিনই সীমান্ত এবং আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে ধরা পড়ছে মাদকের চালান। কিন্তু ধরা পড়া মাদক শনাক্ত করার কোনো পরীক্ষাগার ছিল না। ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাদক শনাক্ত করা নিয়ে বিপাকে ছিল।
মাদক শনাক্তের এই জটিলতা কাটাতে শিগগিরই কক্সবাজারে একটি মাদক পরীক্ষাগার নির্মাণে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপপরিচালক সৌমেন মণ্ডল। তিনি বলেন, কক্সবাজারে মাদক কারবারিদের নতুন করে একটি তালিকা তৈরির কাজ চলছে।
আজ রোববার কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
সৌমেন মণ্ডল বলেন, মাদক পরীক্ষাগারের অভাবে রাসায়নিক পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে আদালতে মামলার অগ্রগতি নেই বললেই চলে। বিষয়টি অনুধাবন করে সরকার এখানে পরীক্ষার তৈরির উদ্যোগ নেয়।
গত ১৪ জুলাই কক্সবাজার আঞ্চলিক বিয়ামকেন্দ্রে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণবিষয়ক একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসির নেতৃত্বে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং স্থানীয় জনপ্রশাসনের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০ জুলাই রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ কক্সবাজার এলাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের জন্য টাস্কফোর্স গঠন করা হয়।
ক্রাইম জোন ২৪