বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সুনির্দিষ্ট নীতিমালার দাবি সিপিডির


দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানির জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালার দাবি জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। আজ রোববার রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক ইন সেন্টারে ‘এলডিসি ৩.০ ফর দ্য পাওয়ার সেক্টর ইজ বাংলাদেশ সেটিং এম্বিশাস টার্গেটস’ শীর্ষক সেমিনারে এ দাবি জানান বক্তারা।
সেমিনারে সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা জরুরি। এ নিয়ে অনেক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, নীতিমালা-টেন্ডার হয়েছে। এখন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে উদ্যোগের কিছু ফলাফল দেখতে চাই। যার জন্য এখনো ৬ মাস সময় রয়েছে। এটা করতে হলে অপচয় রোধ করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পাশাপাশি পরিবেশের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। পরিবেশের ক্ষতি যতটা এড়ানো যায়, ততটাই মঙ্গল। অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। সে জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে নীতিগত সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহ দিতে হবে। যাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়।’
ড. মোয়াজ্জেম আরও বলেন, ‘জ্বালানিতে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে, যার জন্য দায়ী দুর্বল নীতিমালা। এসবের পেছনে যারা জড়িত তাদের আগের মতো চলতে দেওয়া যাবে না। সবক্ষেত্রেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।’
পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের পরিচালক শওকত আলী খান বলেন, ‘পরিবেশের দিকে নজর রেখে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির বাজেট বাড়তে হবে। গণসচেতনতা বৃদ্ধির আবশ্যকতা দরকার। পরিবেশকে গুরুত্ব না দিলে উন্নয়ন টেকসই হবে না।’
তিনি বলেন, ‘এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন করতে তো পরিবেশের উন্নয়ন করতে হবে। আমরা পেছনে আছি। এজন্য আমরা একা দায়ী না। বড় বড় দেশগুলো বেশি দায়ী। সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।’
ক্রাইম জোন ২৪