রামেবির গাছ লুটের অভিযোগ, অস্বীকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের


রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) ক্যাম্পাসের জন্য যে ২০৫ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে, তার এক কোণে একটি খামার ছিল হাফিজুলের। সেটি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। তবে এই হাফিজুলই এখন ক্যাম্পাসের হর্তাকর্তা। আজকের পত্রিকার হাতে আসা ভিডিও অনুযায়ী, তাঁর নির্দেশেই ক্যাম্পাস থেকে কাটা হয়েছে সহস্রাধিক গাছ। কয়েক দিন আগে যখন গাছ কাটা হচ্ছিল, তখন ভিডিওটি করা হয়।
অথচ গাছ কাটার অভিযোগ তুলে ক্যাম্পাসে বালু ভরাটের কাজ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হোসাইন কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেনকে গত ১৩ আগস্ট কারণ দর্শানোর চিঠি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ক্যাম্পাস স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) অধ্যাপক ডা. মোহা. জাওয়াদুল হক। কারণ দর্শানোর এই নোটিশপ্রাপ্তির পর ঠিকাদার আনোয়ার হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকল্প পরিচালকের কাছে লিখিতভাবে জবাব দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘হোসেন কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড কর্তৃক অনুমতিহীনভাবে গাছ কর্তনের অভিযোগ তোলা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। আমরা গাছ কর্তন কিংবা পরিবেশবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডে কখনোই জড়িত ছিলাম না এবং ভবিষ্যতেও থাকব না।’
গাছ কাটার অভিযোগের বিষয়ে গত বুধবার হাফিজুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়েছিল। অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেছিলেন, ‘কে গাছ কেটেছে, আমি বলতে পারব না। আমার এখানে ফার্ম ছিল, অধিগ্রহণ করে নিয়েছে। তারপর এখানে আমার কাজ শেষ।’
এ বিষয়ে গতকাল বিকেলে কথা হলে উপপ্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী সিরাজুম মুনীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অফিসের শেষ সময়ে আজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শোকজের জবাব দিয়েছে। এটা বিশ্লেষণ করে দেখা হবে। তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ক্রাইম জোন ২৪