শিরোনাম
রিয়াদসহ ৬ অঞ্চলে কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের প্রক্রিয়া শুরু করছে সৌদি আরবজাতীয় মানমাত্রার তিনগুণের বেশি বায়ু দূষণ, সাভার উপজেলাকে ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড’ ঘোষণালজ্জাজনক হারের পর নেইমারদের কোচ বরখাস্ত, লজ্জিত নেইমারওপ্রবাসীর জমি দখলে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে মারধর, হামলাকারীরা বিএনপির সঙ্গে যুক্তচট্টগ্রামে দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ড ভ্যানে পিকআপের ধাক্কা, নিহত ৫বন্ধুদের খাওয়াতে ৭০ হাজার ললিপপ অর্ডার ৮ বছরের শিশুরঅদম্য নারীর স্বপ্নজয়: প্রতিকূল আবহাওয়াতেও নেপচুনে কর্মচাঞ্চল্যতৌকীর আহমেদের নতুন ধারাবাহিকের প্রচার শুরুশেভিংয়ে মেনে চলতে হবে এই নিয়মগুলোভাঙন-পানিবন্দীতে দিশেহারা মানুষ

প্রতি কেজি আলুতে কৃষকের লোকসান ১৪-১৬ টাকা

প্রতি কেজি আলুতে কৃষকের লোকসান ১৪-১৬ টাকা

দেশের শীর্ষ আলু উৎপাদনকারী জেলা মুন্সিগঞ্জে কৃষকেরা এবার চরম লোকসানে পড়েছেন। বেশি ফলন ও হিমাগার-সংকটে বিপাকে পড়া এ জেলার কৃষকদের উৎপাদন খরচের অর্ধেকও উঠছে না। প্রতি কেজি আলুতে কৃষকের লোকসান গুনতে হচ্ছে ১৪-১৬ টাকা। বর্তমানে পাইকারি বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১২ ও খুচরা বাজারে ১৮-২০ টাকায়। কিন্তু কৃষকেরা পাইকারি বাজারেই আলু বিক্রি করতে বাধ্য হন। ফলে খুচরা দামের সুফল তাঁদের কাছে পৌঁছায় না।

উৎপাদন বেড়েছে, দাম কমেছে: জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর মুন্সিগঞ্জের ৬ উপজেলায় ৩৪ হাজার ৭৫৮ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ১০ লাখ ৮২ হাজার টন, যা গত বছরের তুলনায় ৫২ হাজার টন বেশি। তবে জেলার ৭৪টি হিমাগারের মধ্যে সচল রয়েছে মাত্র ৫৮টি, যেগুলোর ধারণক্ষমতা প্রায় ৫ লাখ টন। উৎপাদনের অর্ধেকের বেশি তথা ৫ লাখ ৮২ হাজার টনের মতো আলু সংরক্ষণের জায়গার অভাব রয়েছে। ফলে হিমাগারে সংরক্ষণ করতে না পেরে ওই আলু কৃষক তাঁর বাড়িতে মাচার মধ্যে সংরক্ষণ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে মাচাবন্দী থাকায় আলুতে পচন ধরায় তা কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকেরা।

কৃষকের হিসাব, ক্ষতির চিত্র: কৃষকদের হিসাবে, এ বছর ১ কেজি আলু উৎপাদনে খরচ হয়েছে ১৬-১৮ টাকা। হিমাগার পর্যন্ত পরিবহন ও শ্রমিকের পারিশ্রমিকের সঙ্গে হিমাগার ভাড়া যোগ করলে খরচ দাঁড়াচ্ছে ২৬-২৮ টাকা। অথচ বাজারে বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১২ টাকা দরে। এর মধ্যে গত বছর হিমাগারে আলু সংরক্ষণে ৫০ কেজির বস্তাপ্রতি ভাড়া পড়ত ২১০-২৫০ টাকা। এ বছর সেই বস্তার ভাড়া পড়ছে ৩০০ টাকা।

সিরাজদিখানের গোবরদী গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ ইয়াছিন শেখ বলেন, ‘৬ কানি তথা ৮৪০ শতাংশ জমিতে আলু চাষ করে সব মিলিয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ করেছি। ৫০ কেজি বস্তার দেড় হাজার বস্তা আলু পেয়েছি। বিক্রি করে এখন পর্যন্ত পেয়েছি মাত্র ৫ লাখ টাকা। ৫০০ বস্তা আলু হিমাগারে রেখেছি। বর্তমানে পাইকারি বাজারে আলুর দাম কেজিপ্রতি ১২ টাকা। হিমাগারে থাকা ওই আলু বিক্রি করে দিলে আমার লোকসান হবে ১৩-১৪ লাখ টাকা।’

বাজার পরিস্থিতি: জেলার হিমাগারগুলোতে এখনো লাখ লাখ বস্তা আলু মজুত রয়েছে। তবে বাজারে দামের কোনো উন্নতি হয়নি। হিমাগার কর্তৃপক্ষ বলছে, সর্বোচ্চ ১২ টাকা দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। কৃষকদের দাবি, ন্যায্য দাম নিশ্চিত না হলে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে।

জেলার আলুচাষি ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, কৃষকদের বাঁচাতে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। কৃষকের এমন লোকসানের মুহূর্তে সরকারি প্রণোদনা, ঋণ মওকুফ এবং ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের জন্য একটি কার্যকর বাজার ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা অপরিহার্য।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, এ বছর দেশে ২৪ লাখ টন বেশি আলু উৎপাদিত হয়েছে। চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত উৎপাদনের কারণেই দাম কমেছে।


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button