ফেসবুকে কত ভিউ হলে কেমন আয় হয়?


বর্তমানে ফেসবুক শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নয়, এটি একটি বড় আয়ের প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা ভিডিও ভিউ থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আয় করছেন। তবে ফেসবুকে কত ভিউ হলে কত টাকা আয় হয়, তা নির্ভর করে কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর।
ফেসবুক থেকে আয়ের প্রধান উৎস
ফেসবুকে আয়ের মূল ভিত্তি হলো “In-Stream Ads”। ভিডিওর মধ্যে বিজ্ঞাপন দেখানো হয় এবং এখান থেকে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা আয় করেন। আয়ের পরিমাণ নির্ভর করে—
- ভিডিও ভিউয়ের সংখ্যা
- ভিউয়ের ধরণ (১ মিনিট বা তার বেশি সময় ধরে দেখা ভিউ)
- ভিউয়ারদের অবস্থান (উন্নত দেশের ভিউ থেকে বেশি আয় হয়)
- বিজ্ঞাপনের ধরন
কত ভিউ থেকে কত আয়?
সাধারণত ফেসবুকে ১,০০০ মনিটাইজড ভিউ থেকে ২-৫ ডলার আয় হতে পারে।
- উন্নত দেশগুলোর ভিউ থেকে প্রতি ১,০০০ ভিউতে আয় ৫ ডলার বা তার বেশি হতে পারে।
- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানের মতো অঞ্চলে প্রতি ১,০০০ ভিউতে আয় হয় ০.৫০-২ ডলারের মধ্যে।
উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি ভিডিওতে ১ লক্ষ মনিটাইজড ভিউ হয় এবং প্রতি ১,০০০ ভিউতে আয় হয় ১ ডলার, তাহলে মোট আয় হবে ১০০ ডলার।
মনিটাইজড ভিউয়ের শর্ত
সব ভিউ থেকে আয় সম্ভব নয়। মনিটাইজড ভিউ হতে হলে:
- ভিডিওটি অন্তত ৩ মিনিটের হতে হবে।
- ভিউয়ারদের অন্তত ১ মিনিট ভিডিও দেখতে হবে।
- ভিডিওতে ফেসবুক অনুমোদিত বিজ্ঞাপন চালু থাকতে হবে।
আয়ের জন্য যোগ্যতা অর্জন
ফেসবুকে আয় করতে হলে পেজের কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। যেমন:
- কমপক্ষে ১০,০০০ ফলোয়ার থাকতে হবে।
- গত ৬০ দিনে ৬,০০,০০০ মিনিট ভিডিও দেখা (Watch Time) থাকতে হবে।
- পেজে অন্তত ৫টি ভিডিও আপলোড থাকতে হবে।
বাংলাদেশি কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের অভিজ্ঞতা
বাংলাদেশের কনটেন্ট ক্রিয়েটররা হাস্যরসাত্মক ভিডিও, ভ্রমণবিষয়ক ব্লগ, টিউটোরিয়াল এবং রিভিউ ভিডিও তৈরি করে ফেসবুক থেকে আয় করছেন। তবে দেশের CPM তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় আন্তর্জাতিক দর্শকদের জন্য ভিডিও তৈরি করলে বেশি আয় করা সম্ভব।
ফেসবুকে আয়ের সুযোগ থাকলেও তা নির্ভর করে কনটেন্টের মান, অডিয়েন্স এবং মনিটাইজেশনের দক্ষতার উপর।