শিরোনাম

শিল্পীদের এআইকে ‘আয়ত্ত’ করার পরামর্শ দিলেন টাইটানিকের পরিচালক জেমস ক্যামেরন

শিল্পীদের এআইকে ‘আয়ত্ত’ করার পরামর্শ দিলেন টাইটানিকের পরিচালক জেমস ক্যামেরন

বিভিন্ন বিষয়ে নিজের চিন্তাভাবনা প্রকাশ করতে কখনোই পিছপা হননি বিশ্ব চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যবসাসফল নির্মাতা জেমস ক্যামেরন। এবার জেনারেটিভ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়েও নিজস্ব মতামত দিলেন।

‘টাইটানিক’ ও ‘অ্যাভাটার’ সিরিজের জন্য বিশ্বজুড়ে খ্যাত ৭০ বছর বয়সী এই পরিচালক। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রবিষয়ক সংবাদমাধ্যম স্ক্রিন ডেইলির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি এমন আর কিছু ভাবতে পারি না, যা জেনারেটিভ এআই থেকে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জন্য এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। আমাদের এটি আয়ত্ত করতে হবে এবং এমনভাবে ব্যবহার করতে হবে, যেন এটি একটি শিল্পচর্চার উপকরণ হিসেবে থাকে, শিল্পীদের বিকল্প হয়ে না দাঁড়ায়।’

প্রযুক্তিনির্ভর চলচ্চিত্র নির্মাণে জেমস ক্যামেরনের গ্রহণযোগ্যতা ও অবদান দীর্ঘদিনের। ‘টার্মিনেটর-২’তে সিজিআই এবং ‘অ্যাভাটার’-এ পারফরম্যান্স ক্যাপচার ও থ্রিডি প্রযুক্তি ব্যবহারে তিনি ছিলেন পথপ্রদর্শক। তবে এবারের প্রসঙ্গ জেনারেটিভ এআই, যা নিয়ে হলিউডে তীব্র বিতর্ক চলছে। সামান্য ইঙ্গিত পেলেই চলচ্চিত্রকর্মীদের মধ্যে দেখা যায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া।

তবে ক্যামেরনের বক্তব্য তুলনামূলকভাবে ভারসাম্যপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘আমার কখনো নতুন প্রযুক্তিকে ভয় লাগেনি। আমি এটা শিখতে চাই, নিজে আয়ত্ত করতে চাই, তারপর নিজের শিল্পে কীভাবে প্রয়োগ করব, সে বিষয়ে নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন আমরা একধরনের “ওয়াইল্ড ওয়েস্ট” অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। কোনো নিয়ম নেই। আমরা যারা সিনেমা ও টেলিভিশনে কাজ করি, আমাদেরই নিয়ম তৈরি করতে হবে।’

এ ছাড়া ভ্যারাইটির উদ্ধৃতি অনুযায়ী, বোজ টু দ্য ফিউচার পডকাস্টে ক্যামেরন বলেন, বড় বাজেটের ভিএফএক্স-নির্ভর সিনেমাগুলোর খরচ কমাতে জেনারেটিভ এআই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। উদাহরণ হিসেবে তিনি ‘ডিউন’ ছবির কথা বলেন। তবে তিনি স্পষ্ট করে দেন, এর মানে এই নয় যে, মানুষকে বাদ দিয়ে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।

ক্যামেরন বলেন, ‘এটা কিন্তু ইফেক্টস কোম্পানিতে অর্ধেক কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয় নয়। এর মানে হলো, একটি দৃশ্য তৈরি করতে দ্বিগুণ গতি অর্জন করা, যাতে কাজের গতি বাড়ে এবং শিল্পীরা একের পর এক নতুন ও সৃজনশীল কাজে যুক্ত হতে পারেন। এটাই আমার ভবিষ্যতের ভাবনা।’

তিনি বরাবরই সিজিআই (যার প্রবর্তন হয়েছিল ‘টার্মিনেটর-২’তে), পারফরম্যান্স ক্যাপচার ও থ্রিডি চলচ্চিত্র নির্মাণের মতো নতুন প্রযুক্তির পক্ষে সোচ্চার ছিলেন, যেগুলোর ব্যবহার আমরা ‘অ্যাভাটার’-এ দেখেছি। সিজিআই ও পারফরম্যান্স ক্যাপচারের মতো প্রযুক্তিগুলো ঠিকভাবে কাজ করতে এখনো মানুষের সৃজনশীল হস্তক্ষেপ দরকার হয়। অথচ জেনারেটিভ এআইয়ের অনেক সমর্থক মনে করেন, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের সম্পূর্ণ অংশগ্রহণ ছাড়াই চিত্রনাট্য লেখা বা সিনেমা তৈরি সম্ভব।

তথ্যসূত্র: ম্যাশাবল


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button