শিরোনাম
ইটনা স্টেডিয়ামে খেলা বন্ধ করায় ইউএনওর বাসায় হামলা, ৯ পুলিশ-আনসার সদস্য আহতভোররাতে হাঁসের মাংস খেতে ৩০০ ফিটে যান আসিফ মাহমুদ, না পেয়ে যান ওয়েস্টিনেনেত্রকোনায় বিএডিসি ভবনের ছাদ ধসে ৩ শ্রমিকের মৃত্যুকর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় বরখাস্ত এএসপি আরিফুজ্জামানবাপাউবোর মহাপরিচালকের সঙ্গে বোর্ড কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতবিনিময়চট্টগ্রাম থেকে পাইপলাইনে তেল আসবে ঢাকায়, শনিবার উদ্বোধনদুদক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত আইন দুই মাসের মধ্যে কার্যকর হবে: আসিফ নজরুলউন্নত মানসিকতা গঠনে ইসলামের দিকনির্দেশনাহঠাৎ কিসের ক্ষোভ ঝাড়লেন হৃদয়সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে ৬০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মামলা অনুমোদন

‘আপনাদের মেয়ে আর নেই’—মাঝরাতে শাশুড়িকে ফোন দিয়ে লাপাত্তা জামাই

‘আপনাদের মেয়ে আর নেই’—মাঝরাতে শাশুড়িকে ফোন দিয়ে লাপাত্তা জামাই

রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় ৪ সন্তানের মা ফাহমিদা তাহসিন কেয়ার (২৭) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহত কেয়া পশ্চিম শেওড়াপাড়ার শামীম সরণির মেট্রো পিলার ৩২২-এর উল্টো পাশে অনামিকা কনকর্ড অ্যাপার্টমেন্টে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন।

কেয়ার পরিবারের অভিযোগ, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী সিফাত আলী (৩০) তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যার পর কৌশলে ফোনে খবর দিয়ে পালিয়ে গেছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত মিরপুর মডেল থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে এসে সরেজমিন কাজ শুরু করেছি। মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। তবে স্বামী পলাতক।’

নিহতের ফুফু সৈয়দা ফাতেমা জাহান কলি জানান, রাত ২টার দিকে সিফাত শাশুড়ি নাজমা বেগমকে ফোন করে জানায়, কেয়া খুব অসুস্থ, বাসায় আসতে হবে। কী হয়েছে জানতে চাইলে একপর্যায়ে সে স্বীকার করে, ‘কেয়া আর বেঁচে নেই।’

খবর পেয়ে নাজমা বেগম ও তাঁর স্বামী বাসায় এসে দেখেন, সিফাত কেয়াকে নিয়ে পান্থপথের বিআরবি হাসপাতালের দিকে যাচ্ছে। সেখানে পৌঁছালে চিকিৎসকেরা কেয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। সিফাত সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে বাসায় ফিরে তাঁরা দেখেন, বাসায় তালা ঝুলছে।

নিহতের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সিফাত বদমেজাজি, সন্তানদের সামনেই মেয়েকে মারধর করত। কয়েক দিন আগে কেয়া বলেছিল সংসার করবে না, ফিরে আসতে চায়। আমরা আটকেছি—এটাই ভুল ছিল। আজ খেসারত দিলাম মেয়েটাকে হারিয়ে।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘গলায় দাগ দেখেছি। সুস্থ মানুষ হঠাৎ মারা যাবে না। সিফাত কেন পালাবে? এটা হত্যাকাণ্ড।’

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত সিফাতের বাবা দীর্ঘদিন ধরে হংকংয়ে থাকেন, মা অনেক আগেই মারা গেছেন।

মিরপুর মডেল থানার ওসি মো. সাজ্জাত রোমান বলেন, ‘মরদেহ মর্গে আছে। সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। আত্মহত্যা নাকি হত্যা, তদন্তে তা স্পষ্ট হবে।’


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button