শিরোনাম

মুষলধারে বৃষ্টিতে ধসে গেল সেতু, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হাজারো মানুষ

মুষলধারে বৃষ্টিতে ধসে গেল সেতু, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হাজারো মানুষ
Ajker Patrika

মুষলধারে বৃষ্টিতে ধসে গেল সেতু, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হাজারো মানুষ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি 

প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২৫, ১৫: ২০

Photo

মুষলধারে বৃষ্টির কারণে সেতুর দুপাশের মাটি সরে গিয়ে তা ভেঙে পড়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাত কাজলদীঘি ইউনিয়নের কুচিয়া মোড় ও বন্দরপাড়া এলাকার সংযোগ সড়কের একটি স্লুইসগেট সেতু ধসে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় অবিরাম মুষলধারে বৃষ্টির কারণে সেতুর দুপাশের মাটি সরে গিয়ে সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে সেতুর নিচের মাটি সড়ে গেলে পুরো সেতুটি ভেঙে পড়ে। এতে হাজারো মানুষের স্বাভাবিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিকল্প পথে প্রায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

এ ছাড়া সেতুর দুপাশে থাকা পাঁচটি দোকানও পানির তীব্র স্রোতে ভেসে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারেরা জানান, তাঁরা মঙ্গলবার রাত ১১টার পর দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যান। ভোরে এসে দেখেন, দোকানের কিছুই অবশিষ্ট নেই। জমির উদ্দিন নামে একজন দোকানদার বলেন, ‘আমার দোকানে বিভিন্ন মালামাল ছিল, সব মিলিয়ে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। কিছুই উদ্ধার করা যায়নি।’

মুষলধারে বৃষ্টির কারণে সেতুর দুপাশের মাটি সরে গিয়ে তা ভেঙে পড়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
মুষলধারে বৃষ্টির কারণে সেতুর দুপাশের মাটি সরে গিয়ে তা ভেঙে পড়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুচিয়া মোড় ইবতেদায়ি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মনিরা খাতুন বলেন, ‘ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করতে পারছে না। তাদের কথা ভেবে দ্রুত অন্তত একটি অস্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ করা জরুরি।’

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় পঞ্চগড়ে ৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সামনের কয়েক দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।’

পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। ব্রিজটি সংস্কারের বরাদ্দ এসেছিল, টেন্ডারও করা হয়েছিল। কিন্তু এরই মধ্যে ব্রিজটি ভেঙে গেছে। নতুন ব্রিজ নির্মাণে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পানি কমে গেলে অস্থায়ীভাবে ব্রিজ বানানো হবে।’

ক্রাইম জোন ২৪
আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button