শিরোনাম

কৃষিঋণের আওতায় যুক্ত হচ্ছে নতুন ৮ ফসল

কৃষিঋণের আওতায় যুক্ত হচ্ছে নতুন ৮ ফসল

২০২৫-২৬ অর্থবছরে দেশের কৃষি ও পল্লিঋণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার ৩৯ হাজার কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণ করা হবে, যা গত অর্থবছরে ছিল ৩৮ হাজার কোটি। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৩ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা এবং বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকের জন্য ২৫ হাজার ১২০ কোটি।

কৃষিঋণ সুবিধার পরিধি বাড়াতে কন্ট্রাক্ট ফার্মিং ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঋণ সরবরাহের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নতুন নীতিমালায় আটটি নতুন ফসল ঋণের আওতায় আনা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে, ক্ষীরা, কচুর লতি, বিটরুট, কালিজিরা, আদা, রসুন, হলুদ, খেজুরের গুড়। পাশাপাশি অঞ্চলভিত্তিক উৎপাদনের সম্ভাবনা বিবেচনায় ঋণ বিতরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষি ও পল্লিঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি ঘোষণা করেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। অনুষ্ঠানে ডেপুটি গভর্নর, বিএফআইইউর প্রধান, চিফ ইকোনমিস্ট, নির্বাহী পরিচালকসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নতুন নীতিমালায় প্রাণিসম্পদ খাতে বরাদ্দ ১৫ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। সেচ ও কৃষি যন্ত্রপাতি খাতে ২ শতাংশ বরাদ্দ অপরিবর্তিত রয়েছে। পাশাপাশি ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর (সিআইবি) সার্ভিস চার্জ মওকুফ করা হয়েছে। কৃষিঋণ কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও মনিটরিংয়ের জন্য ওয়েবভিত্তিক ‘অ্যাগ্রি-ক্রেডিট এমআইএস’ সফটওয়্যার উদ্বোধন করা হয়েছে।

গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য কৃষি ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ঋণপ্রবাহ অপরিহার্য। খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং কৃষি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে এই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। দালালমুক্ত, স্বচ্ছ ও দ্রুততর ঋণ সেবা নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

গভর্নর বলেন, ‘কৃষকেরা এখনো ন্যায্য হিস্যা পাচ্ছেন না। দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত ও দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে হলে কৃষকদের সহায়তা বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই। এ জন্য তাঁদের ঋণ পাওয়ার প্রক্রিয়া আরও সহজ করা জরুরি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, আমাদের দেশের অধিকাংশ কৃষকের অ্যাকসেস টু ক্রেডিট বা ঋণে প্রবেশাধিকার নেই; থাকলেও তা খুব সীমিত। ব্যাংকের মাধ্যমে যে কৃষিঋণ বিতরণ করা হয়, তার সবটা কি প্রকৃত কৃষকের হাতে পৌঁছায়? এ বিষয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে। তাই বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। দালালের মাধ্যমে ঋণ যেন না যায়, সে বিষয়ে কড়া নজরদারি বাড়াতে হবে।’

দুর্বল ব্যাংক একীভূতকরণ প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, এই প্রক্রিয়া চলমান। তবে আমানতকারীদের চিন্তার কোনো কারণ নেই। সরকার তাঁদের দায়দায়িত্ব নেবে।


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button