কাজ হোক আর না হোক, ঘুষের সরবরাহ বন্ধ করে দেন: দুদক চেয়ারম্যান


দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, দুদকের ভেতরেও দুর্নীতি আছে, আচরণেও সমস্যা আছে। তিনি বলেন, কাজ হোক আর না হোক, যদি আপনারা ঘুষের সরবরাহ বন্ধ করে দেন, দেখবেন কাজ একদিন এমনিতেই হয়ে গেছে।
আজ রোববার বগুড়ায় দুদক আয়োজিত গণশুনানি শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আবদুল মোমেন এসব কথা বলেন।
সবাইকে দুদকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি নজর রাখার আহ্বান জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা কী করি, সেদিকে আপনাদের লক্ষ রাখতে হবে। আমরা যাতে দুর্নীতিগ্রস্ত না হয়ে পড়ি, সেটার দিকে নজর রাখতে হবে।’
গণশুনানির সমাপনী বক্তব্যে আবদুল মোমেন বলেন, ‘দুর্নীতি করার জন্য ঘুষ দিতে হয়। যদি আপনারা ঘুষের সরবরাহ বন্ধ করে দেন—কাজ হোক বা না হোক—একসময় দেখবেন ঘুষ ছাড়াই কাজ হয়ে যাবে। সরকারি চাকরিজীবীদের বিকল্প নেই, তাদের কাজ করতেই হবে।’
শহরের শহীদ টিটু মিলনায়তনে বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সেবা পেতে ঘুষ, দুর্নীতি ও হয়রানির শিকারদের অভিযোগ শোনা হয়।
অনুষ্ঠানে মোট ৩২টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৯৭টি অভিযোগ জমা পড়ে, যার মধ্যে ৫৭টি সরাসরি শুনানি করা হয়। শুনানিকালে প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের অবৈধ ভর্তি কার্যক্রমের অভিযোগে রাব্বি ও সোহেল নামে দুজনকে দুদক চেয়ারম্যানের নির্দেশে পুলিশ আটক করে।
শুনানিতে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের চার লেন উন্নীতকরণ প্রকল্প এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঙ্গালী নদী খনন প্রকল্পের দুর্নীতির অভিযোগও ওঠে, যা অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা, গড়বে আগামীর শুদ্ধতা’—স্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা। সঞ্চালনা করেন দুদকের মহাপরিচালক আকতার হোসেন। উপস্থিত ছিলেন দুদকের রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক, বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা ও দুদক বগুড়ার উপপরিচালক মাহফুজ ইকবালসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
ক্রাইম জোন ২৪