শিরোনাম

‘ফিলিস্তিনি পেলে’র মৃত্যুতে দায়সারা বিবৃতি, উয়েফাকে একহাত নিলেন সালাহ

‘ফিলিস্তিনি পেলে’র মৃত্যুতে দায়সারা বিবৃতি, উয়েফাকে একহাত নিলেন সালাহ

লিভারপুলের তারকা ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহ গতকাল শনিবার ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফার কড়া সমালোচনা করেছেন। প্রয়াত সুলেমান আল-ওবেইদ, যিনি ‘ফিলিস্তিনি পেলে’ নামে পরিচিত, তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছে উয়েফা। কিন্তু কোন পরিস্থিতিতে সুলেমানের মৃত্যু হয়েছে সে ব্যাপারে কোনো ইঙ্গিতও নেই পোস্টে। সালাহ এই কারণে উয়েফার সমালোচনা করেছেন।

ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (পিএফএ) জানিয়েছে, গত বুধবার দক্ষিণ গাজায় মানবিক সহায়তার অপেক্ষায় থাকা বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে নিহত হন ৪১ বছর বয়সী সুলেমান আল-ওবেইদ।

‘এক্স’ হ্যান্ডলে একটি সংক্ষিপ্ত পোস্টে উয়েফা আল-ওবেইদকে ‘একজন প্রতিভা, যিনি সবচেয়ে কঠিন সময়েও অসংখ্য শিশুকে আশা দিয়েছিলেন’ বলে উল্লেখ করেছে। এর জবাবে সালাহ লেখেন, ‘আপনারা কি আমাদের জানাতে পারেন, তিনি কীভাবে, কোথায় এবং কেন মারা গেছেন?’

তবে পরে আর এ বিষয়ে উয়েফা কোনো মন্তব্য করেনি।

প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম বড় তারকা সালাহ। ৩৩ বছর বয়সী এই মিসরীয় খেলোয়াড় প্রায় দুই বছর ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিপর্যস্ত গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার পক্ষে বারবার কথা বলেছেন।

পরে পিএফএ তাদের ফেসবুক পেজে উয়েফা সভাপতি আলেকজান্ডার সেফেরিনের একটি বিবৃতি প্রকাশ করে, যেখানে আল-ওবেইদকে ‘কষ্টের মধ্যেও মানুষের হৃদয়ে আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যক্তিত্ব’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘তিনি তাঁর প্রতিভা ও নিবেদন গাজার শিশুদের দিয়েছিলেন এবং তাদের স্বপ্নকে কষ্টের মধ্যেও বিকশিত হওয়ার আশা জুগিয়েছিলেন।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘তাঁর মৃত্যু ফুটবল বিশ্বের এবং খেলার ঐক্য ও সংহতির শক্তিকে যারা উপলব্ধি করে, তাদের সবার জন্য এক বিশাল ক্ষতি।’

পিএফএ গতকাল শনিবার জানায়, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে ফিলিস্তিনে ফুটবল খেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ৩২৫ জন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন—খেলোয়াড়, কোচ, প্রশাসক, রেফারি এবং ক্লাব বোর্ডের সদস্য।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস দক্ষিণ ইসরায়েলে সীমান্ত অতিক্রম করে হামলা চালানোর পর নির্বিচারে বোমা বর্ষণ শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলের পাল্টা বিমান ও স্থল অভিযানে গাজার পুরো এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ২৩ লাখ জনসংখ্যার বেশির ভাগই বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, উপত্যকাটি দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে।

জাতিসংঘের হিসাবে, গত বছরের মে মাসের শেষদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত মানবিক সহায়তা বিতরণ ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর থেকে গাজায় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র এবং ত্রাণ বহরের কাছে ১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি বিনা উসকানিতে এই ক্ষুধার্ত মানুষগুলোকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে। আর দুই বছরের ইসরায়েলি বর্বরতায় এখন পর্যন্ত ৬১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু।








ক্রাইম জোন ২৪

ক্রাইম জোন ২৪


আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button