শিরোনাম

মালয়েশিয়ায় ৫৪ লাখ টাকার সোনা ও স্মার্টফোনসহ ৪ বাংলাদেশি আটক

মালয়েশিয়ায় ৫৪ লাখ টাকার সোনা ও স্মার্টফোনসহ ৪ বাংলাদেশি আটক

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ধরা পড়েছে ৪ বাংলাদেশি। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা সোনা ও স্মার্টফোন চোরাচালানের চেষ্টা করেছিলেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রায় ১ লাখ ৮৮ হাজার মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৪ লাখ টাকার সোনা ও স্মার্টফোন জব্দ করা হয়।

মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বারনামার খবরে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-১ এর কাছে তাদের আটক করে দেশটির বর্ডার কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রোটেকশন এজেন্সি। এ সময় তাদের সহায়তা করে অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি।

বর্ডার কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রোটেকশন এজেন্সি এক বিবৃতিতে বলেছে, অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটির প্রাথমিক গোয়েন্দা মূল্যায়নের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রায় ১ লাখ ৮৮ হাজার মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৪ লাখ টাকার সোনা ও স্মার্টফোন জব্দ করা হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জব্দ করা জিনিসগুলোর মধ্যে রয়েছে—সোনার তিনটি গয়না, যার মূল্য ১ লাখ ৬০ হাজার রিঙ্গিত, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১২টি স্মার্টফোন যার মূল্য ২২ হাজার ৭০০ রিঙ্গিত, নগদ ৫ হাজার ৪২ রিঙ্গিত এবং বাংলাদেশি নাগরিকদের কাছে থাকা পাঁচটি আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট।

সংস্থাটি জানায়, সব আসামিকে ১৯৫৯ / ৬৩ সালের ইমিগ্রেশন আইনে তদন্তের জন্য আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনের বিরুদ্ধে ১৯৬৩ সালের ইমিগ্রেশন রেগুলেশনস-এর ৩৯ (বি) ধারা ভঙ্গ করে ভিসার শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আরেকজনের বিরুদ্ধে একই আইনের ৬ (১) (সি) ধারা অনুযায়ী বৈধ ভিসা বা অনুমতিপত্র ছাড়াই দেশটিতে প্রবেশ ও অবস্থানের অভিযোগে তদন্ত চলছে।

গ্রেপ্তারের পর পুলিশের পক্ষ থেকেও একটি প্রতিবেদন করা হয়েছে। পরে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সেলাঙ্গর ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের (জেআইএম) এনফোর্সমেন্ট ডিভিশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়, যাতে পরবর্তী তদন্ত ও মামলার ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

এদিকে, কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (কেএলআইএ) টার্মিনাল ২–এ (টি২) অবৈধভাবে প্রবেশ ও প্রস্থানের তিনটি ভিন্ন কৌশল ব্যর্থ করে দেয় এয়ারপোর্ট কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন সার্ভিস (একেপিএস)। এতে ২১ জন বিদেশিকে মালয়েশিয়ায় প্রবেশে বাধা দেওয়া হয় এবং আরও একজনকে আটক করা হয়।

একেপিএস জানায়, কেএলআইএ টার্মিনাল ২–এর মনিটরিং টিমের নিয়মিত নজরদারির সময় এসব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করা হয়। প্রথম ঘটনায় ছয়জন কম্বোডিয়ার নাগরিক, দ্বিতীয় ঘটনায় তিনজন ইন্দোনেশীয় এবং তৃতীয় ঘটনায় একজন চীনা নাগরিক জড়িত ছিলেন।

এ ছাড়া, সাত ভারতীয় ও পাঁচজন পাকিস্তানি নাগরিককেও প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়, কারণ তারা সঠিকভাবে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পার হওয়ার চেষ্টা করেননি। একেপিএস জানায়, সংশ্লিষ্ট সবাইকে ‘প্রবেশ নিষেধ নোটিশ’ (এনপিএম) দেওয়া হয়েছে এবং যত দ্রুত সম্ভব প্রথম ফ্লাইটে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button