শিরোনাম
পাকিস্তানি ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড পুলিশের তদন্ত, ঘটনা কীভেনেজুয়েলা প্রেসিডেন্ট মাদুরোর গ্রেপ্তারের পুরস্কার বাড়িয়ে ৫ কোটি ডলার করল ট্রাম্প প্রশাসনঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহতপর্তুগিজ ক্লাবের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিকের পর রোনালদো বলছেন, খেলা এখনো বাকিঢাকার বাতাস আজ সহনীয়বীরগঞ্জে গোডাউন থেকে ১৬ মেট্রিক টন সরকারি চাল জব্দদৈনিক আজকের পত্রিকার ফটো সাংবাদিক হেলাল সিকদারের বাবার মৃত্যু, সিইউজের শোকডোপ টেস্টে পজিটিভ, চবিতে শিক্ষকতা থেকে বাদ দুই প্রার্থীনান্দাইলে পুরোনো কৃষিযন্ত্রের ব্যতিক্রমী হাট, ভরসা গরিব কৃষকেরক্রিকেটে খেলার চেয়ে ধুলাই উড়েছে বেশি

কুমিল্লায় অপহরণের পর যুবক হত্যা, মরদেহ ইনানী সৈকতে

কুমিল্লায় অপহরণের পর যুবক হত্যা, মরদেহ ইনানী সৈকতে

কুমিল্লা নগরী থেকে অপহরণের পর মুক্তিপণ না পেয়ে সজিব হোসেন (২৬) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে মরদেহ গোপনে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে ফেলে দেওয়া হয় কক্সবাজারের ইনানী সমুদ্র সৈকতে।

ঘটনার পাঁচ দিন পর গত বুধবার (৬ আগস্ট) বিকেলে ইনানী সৈকত থেকে সজিবের মরদেহ উদ্ধার করে উখিয়া থানা পুলিশ। পরদিন বৃহস্পতিবার কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে হত্যা মামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

নিহত সজিব কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ভাউকসার গ্রামের বাসিন্দা ও কামাল হোসেনের ছেলে। তিনি ব্যক্তিগত কাজে গত ১ আগস্ট কুমিল্লা শহরে আসেন বলে জানিয়েছে পরিবার।

কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিনুল ইসলাম জানান, শহরে আসার পর থেকেই সজিবের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে স্বজনেরা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এরই মধ্যে এক অজ্ঞাত নম্বর থেকে সজিবের বাবার ফোনে যোগাযোগ করে অপহরণকারীরা এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরিবার দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানালে সজিবকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়।

ওসি আরও জানান, হত্যার পর মরদেহ ঢেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে কক্সবাজারে নিয়ে ইনানী সৈকতে ফেলে দেওয়া হয়। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

তিনি বলেন, “সজিবকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করা হয়েছিল মুক্তিপণের জন্য। টাকা না পেয়ে তাকে হত্যা করে মরদেহ সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।” গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে, তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন উখিয়া থানার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এদিকে, এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button