অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়তে উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলোর আহ্বান


ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাকায় উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলোর দূতাবাসে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস পালিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার পৃথক বিবৃতিতে দূতাবাসগুলো দেশে সংস্কারের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দূতাবাস বলেছে, এক বছর আগে বাংলাদেশের জনগণ রাস্তায় নেমেছিলেন ন্যায়সংগত ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের দাবিতে। ইইউ তাঁদের সহনশীলতা ও সাহসিকতাকে সম্মান জানায়। ইইউ শান্তিপূর্ণ ও গঠনমূলক সংলাপের মাধ্যমে মানবাধিকার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার সম্পন্ন করার জন্য সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানায়।
বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে নিতে অন্তর্বর্তী সরকার ও জনগণের প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন জানায় ব্রিটিশ হাইকমিশন।
জাপানের দূতাবাস ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানকে বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে অভিহিত করে। সংস্কার ও শান্তিপূর্ণ উত্তরণের জন্য এখানকার জনগণের চেষ্টার পাশে থাকার প্রতিশ্রুতির কথা জানায় তারা।
বাংলদেশে গত বছর ক্ষমতার পটপরিবর্তনকে ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে অভিহিত করেছে ফ্রান্স ও জার্মানি।
এই দুই দূতাবাস আলাদা বিবৃতিতে বলেছে, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও সবার জন্য মর্যাদা নিশ্চিত করে শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের দিকে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় তারা পাশে থাকবে।
সুইডেন, ডেনমার্ক ও নরওয়ের পক্ষে সুইডিশ দূতাবাসের দেওয়া বিবৃতিতে গণতান্ত্রিক সংস্কার, অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেওয়া হয়।
সুইস দূতাবাস বলেছে, ন্যায়ভিত্তিক, জবাবদিহিমূলক ও স্বচ্ছ সমাজব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে সবার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া গড়ে তোলার যে চেষ্টা চলছে, সুইজারল্যান্ড তাতে পাশে থাকবে।
ইতালি দূতাবাস আশা প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলেছে, অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থা, মানবাধিকার ও মৌলিক মুক্তির প্রতি সম্মান সমুন্নত রেখে বাংলাদেশ স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।
কানাডা ও নেদারল্যান্ডস দূতাবাস আলাদা বিবৃতিতে ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান দিবস পালনকে বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা ও শৌর্যের স্বীকৃতি হিসেবে অভিহিত করেছে। দেশ দুটি বাংলাদেশে ন্যায়ভিত্তিক, শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ গড়ার চেষ্টায় সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথা বলেছে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন, দূতাবাসগুলো তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। আর আহত ব্যক্তিদের পুরোপুরি সুস্থ ও পুনর্বাসনের জন্য সহায়তার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে তারা।