যা বলছেন নির্বাচন করতে চাওয়া নেতারা


বাগেরহাটের একটি সংসদীয় আসন কমিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবে জেলাবাসীর মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন গতকাল বুধবার জেলার চারটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব প্রকাশ করেছে।
নির্বাচন কমিশনের সীমানা নির্ধারণে গঠিত বিশেষায়িত কারিগরি কমিটির প্রস্তাব অনুযায়ী, বিদ্যমান বাগেরহাট-৩ (মোংলা ও রামপাল) আসনের মোংলাকে বাগেরহাট-৪ আসনের এবং রামপালকে বাগেরহাট-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। ফলে গঠিত হবে বাগেরহাট-২ (সদর, কচুয়া ও রামপাল) এবং বাগেরহাট-৩ (মোংলা, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা)। এতে বাগেরহাট-৪ আসনটি বিলুপ্ত হবে। নির্বাচন কমিশনের এমন প্রস্তাবের খবর প্রকাশের পর জেলার রাজনৈতিক মহল এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা এখন কমিশনের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে বাগেরহাট-৪ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির সদস্য কাজী খায়রুজ্জামান শিপন বলেন, ‘বাগেরহাটে একটি আসন কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাই। নির্বাচন কমিশনের এ ধরনের সিদ্ধান্ত আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার একটি অপকৌশল। এ সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে বাগেরহাটে আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তোলা হবে।’
জাতীয়তাবাদী তাঁতীদলের কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ও বিএনপি থেকে বাগেরহাট-৪ আসনে আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী কাজী মনির বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের ঘোষণায় হতবাক হয়েছি। এমনিতেই বাগেরহাট-৪ আসনে ২০টি ইউনিয়ন। এটি দুর্গম এলাকা, উন্নয়ন বরাদ্দ কম। এখন মোংলা উপজেলাকে বাগেরহাট-৪ আসনে যুক্ত করা হলে জটিলতা বাড়বে ছাড়া কমবে না। নির্বাচন কমিশনের আসন কমানোর সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে ঢাকায় মানববন্ধন করা হবে।’
এ নিয়ে কথা হলে আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের বাগেরহাট-৪ আসনের মনোনীত প্রার্থী ওমর ফারুক নূরী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের বাগেরহাটে আসন কমিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব জনআকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী। যেখানে বাগেরহাটে আরও নির্বাচনী আসন বাড়ানো দরকার, সেখানে কমানোর প্রস্তাব মেনে নেওয়া হবে না। এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
অন্যদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বাগেরহাট জেলা কমিটির সদস্য ও বাগেরহাট-৪ আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী আব্দুল আলীম বলেন, ‘বাগেরহাটে আসন কমানো ও বাগেরহাট-৪-এ মোংলা উপজেলাকে যুক্ত করার নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়। এ প্রস্তাব বাতিলের জন্য জনমত গড়ে তোলা হবে।’