শিরোনাম

স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: সিলেটে ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড

স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: সিলেটে ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড

সিলেটের বিশ্বনাথে স্কুলছাত্র সুমেল আহমেদ শুকুর হত্যা মামলায় আটজনের মৃত্যুদণ্ড, সাতজনের অর্থদণ্ডসহ যাবজ্জীবন এবং ১৭ জনের দুই বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে সিলেটের প্রথম অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতের (ভারপ্রাপ্ত) বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন এই রায় ঘোষণা করেছেন। এ সময় মামলায় মোট ৩২ জন আসামির মধ্যে পলাতক মামুনুর রশিদ ছাড়া অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

রায়ের তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি কামাল হোসেন। মামলার বাদী ইব্রাহিম আহমদ সিজিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‌সরকারসহ সংশিষ্ট সবার কাছে দাবি, রায়টি যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়।

তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবুল খায়ের হেলাল আহমদ বলেন, ‘ন্যায়বিচার হয় নাই। ন্যায়বিচার বিঘ্নিত হয়েছে। আমরা হাইকোর্টে আপিল করব।’

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আটজন হলেন সাইফুল আলম, নজরুল আলম, সদরুল ওরফে সাদর আলম, সিরাজ উদ্দিন, জামাল মিয়া, শাহিন উদ্দিন, মো. আব্দুল জলিল ও আনোয়ার হোসেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাতজন হলেন ইলিয়াছ আলী, আব্দুন নুর, জয়নাল আবেদিন, আশিক উদ্দিন, আসকির আলী, মো. আলাইদ মিয়া ওরফে ফরিদ মিয়া ও আকবর মিয়া। একই সঙ্গে এই সাতজনকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও দুই বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আর দুই বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত ১৭ জন হলেন লুৎফুর রহমান, ময়ূর মিয়া, মানুনুর রশিদ (পলাতক), কাওছার রশীদ, দিলাফর আলী, পারভেজ মিয়া, ওয়াহিদ মিয়া, দিলোয়ার হোসাইন, আজাদ মিয়া, মুক্তার আলী, আব্দুর রকিব, আঙ্গুর আলী, জাবেদুল ইসলাম ওরফে জাবেদ, শফিক উদ্দিন ওরফে রাজন, মো. মখলিছ মিয়া, ফিরোজ আলী ও ফখর উদ্দিন।

আদালতসংশ্লিষ্টরা জানান, ২০২১ সালের ১ মে বিশ্বনাথের চৈতননগর গ্রামের নজির উদ্দিনের খেতের জমি থেকে জোর করে রাস্তায় মাটি তুলতে চান যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সাইফুল আলম। এ সময় তাঁকে বাধা দেন নজির উদ্দিন, চাচাতো ভাই মানিক মিয়া ও ভাতিজা দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্র সুমেল মিয়া। এতে বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে সাইফুল আলমের বন্দুকের গুলিতে ওই দিন সুমেল মিয়া নিহত হন। এ সময় সুমেলের বাবা, চাচাসহ চারজন গুলিবিদ্ধ হন।

ঘটনার পর সুমেলের চাচা ইব্রাহিম আহমদ সিজিল বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে বিশ্বনাথ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তৎকালীন বিশ্বনাথ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী দীর্ঘ তদন্ত শেষে ৩২ জনের বিরুদ্ধে এ মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন। মামলায় ৩৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জন সাক্ষ্য দেন।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button