রাজশাহীতে ‘চাঁদাবাজদের’ তালিকায় নাম নিয়ে জামায়াতের আপত্তি


রাজশাহীতে ‘চাঁদাবাজদের’ কথিত তালিকায় জামায়াতে ইসলামীর নাম আসায় তীব্র আপত্তি জানিয়েছে দলটি। আজ মঙ্গলবার জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী মহানগরীর আমির ড. কেরামত আলী ও সেক্রেটারি মু. ইমাজ উদ্দিন মণ্ডল এক যৌথ বিবৃতিতে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিবৃতিটি পাঠিয়েছেন মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি শাহাদৎ হোসাইন।
এর কয়েক দিন আগে ১২৩ জনের একটি তালিকা বিভিন্ন মহলে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ‘চাঁদাবাজ’ হিসেবে ১২৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এই তালিকার ছয়জনের নামের পাশে জামায়াতের কর্মী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এই তালিকা নিয়ে গতকাল সোমবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে তালিকাটি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও।
জামায়াতের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সম্প্রতি ফেসবুকসহ কিছু অনলাইন পোর্টালে ‘‘রাজশাহীর ১২৩ জন চাঁদাবাজ’’ শীর্ষক তালিকায় ছয়জনের নামের পাশে জামায়াতের কর্মী হিসেবে উল্লেখ করে যেসব আজগুবি ও অসত্য তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে, আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কাল্পনিক এই ১২৩ জন চাঁদাবাজের তালিকা কতটুকু সঠিক ও নির্ভরযোগ্য, সেটা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। কারণ, তালিকাটি কারা তৈরি করেছে, সেটার উল্লেখ নেই।’
যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও এই তালিকার ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে পারেনি। মূলত জামায়াতে ইসলামীর ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন করার অসৎ উদ্দেশ্যেই কোনো কুচক্রী মহল এই অপপ্রচার চালিয়েছে। ছড়িয়ে পড়া তথাকথিত এই চাঁদাবাজের তালিকায় যাঁদের নামের পাশে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেখানে জামায়াতে ইসলামীর কোনো জনশক্তির নাম, পিতা ও ঠিকানার সঙ্গে কোনো মিল নেই। তাঁরা জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর কোনো পর্যায়ের জনশক্তিও নন।
‘এ ব্যাপারে আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য হলো, কোনো প্রকার চাঁদাবাজের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর দূরতমও কোনো সম্পর্ক নেই। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী সর্বদা সোচ্চার ও কঠোর ভূমিকা পালন করে আসছে। জামায়াতে ইসলামীর কোনো জনশক্তি চাঁদাবাজি করে না এবং কাউকে তা করতেও দেবে না। এ দেশের মাটি ও মানুষের হৃদয়ের মধ্যে জামায়াতে ইসলামী রয়েছে। ফলে অপপ্রচার চালিয়ে ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন করা যাবে না।’
বিবৃতিতে এই ‘অপপ্রচার’ চালানো থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।