ভ্রান্ত সমাজতান্ত্রিক কাঠামো থেকে অর্থনৈতিক সাম্য আনেন জিয়াউর রহমান, বললেন মির্জা ফখরুল


জিয়াউর রহমান ভ্রান্ত সমাজতান্ত্রিক কাঠামো থেকে অর্থনৈতিক সাম্য প্রতিষ্ঠা করে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মরহুম শফিউল বারী বাবুর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মরহুম শফিউল বারী বাবু স্মৃতি সংসদ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) কীভাবে ভোট দেয় সেটা জনগণ বোঝে না। আর দেশের মানুষ সংখ্যানুপাতিক (পিআর) নির্বাচন কী জিনিস তাতো বোঝেই না। এদিকে আবার একদল বলে পিআর ছাড়া নির্বাচনে যাবে না।’
সংস্কার নিয়ে মহাসচিব বলেন, ‘আমরা পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করতে আসছি। অনেকে বলে বিএনপি সংস্কার চায় না। জিয়াউর রহমান সমস্ত অন্ধকার থেকে মুক্ত করে গেছেন। বহুদলীয় গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বাক্স্বাধীনতা, অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ বেশকিছু রাজনৈতিক সংস্কার তিনি করে গেছেন। ভ্রান্ত সমাজতান্ত্রিক কাঠামো থেকে অর্থনৈতিক সাম্য প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।
নির্বাচন নিয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, ‘অবিলম্বে সংস্কার ও জুলাই সনদ শেষ করুন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে লন্ডন বৈঠকে নির্বাচনের যে সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল তাতে জাতি আশান্বিত হয়েছিল। লন্ডনে নির্বাচনের যে সময়ের কথা বলা হয়েছে সেই অনুযায়ী নির্বাচন দিন। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিন।’
মরহুম শফিউল বারী বাবুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা ও আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বাবু নিজের স্বার্থের জন্য রাজনীতি করিনি। দেশ, মানুষ ও দলের কথা চিন্তা করেই রাজনীতি করেছে। আমাদের বহু নেতাকর্মীকে জেল, জুলুম, নির্যাতন, অত্যাচার করা হয়েছে। কিন্তু কেউই স্বৈরাচারের কাছে আত্মসমর্পণ করিনি। তেমনই একজন ছিল এই বাবু। ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনে অন্যতম বীর সেনানি এই শফিউল বাবু।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সাবেক ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ শীর্ষ স্থানীয় নেতারা।