সবার প্রতি তাসকিনের বিশেষ অনুরোধ


তাসকিন আহমেদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর বাল্যবন্ধু সিফাত সৌরভ। অভিযোগ করা হয়েছে, মদ্যপ অবস্থায় বন্ধুকে গাড়িতে উঠিয়ে মারধর করেছেন তাসকিন। বাংলাদেশের তারকা পেসার অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ব্যাপারে আলোচনাও হচ্ছে বেশ। এবার ফেসবুকে এক পোস্টে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন তিনি।
আজ বিকেলে সবার প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়ে এক পোস্টে তাসকিন লেখেন, ‘সবাইকে অনুরোধ, গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না। আমি আমার ছোটবেলার বন্ধুর গায়ে হাত তুলেছি এমন একটা ঘটনায় অনেক কিছুই ঘটে যাচ্ছে। আমার মনে হয় এমন গুজবে কান দিয়ে বিভ্রান্ত হবেন না এবং অন্য কেও বিভ্রান্ত করবেন না।’
তাসকিনের মতে, ব্যাপারটি তাঁর নিজের, পরিবার ও জন্য বন্ধুর জন্য সম্মানজনক নয়। তাঁর বিরুদ্ধে করা অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট হিসেবে উল্লেখ করলেন, ‘এটা আমার, আমার পরিবার ও আমার বন্ধুর জন্য সম্মানজনক না। যা ঘটেছে সে জন্য, বন্ধু ও আমার মধ্যে কথা হয়েছে। এটা যে পর্যায়ে গেছে কোনোভাবে এমনটা হওয়ার কথা নয়। শুধু একটা কথাই বলতে চাই বিষয়টা অন্য, বাস্তবতা ভিন্ন। মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
তাসকিন সবাইকে সত্যর সঙ্গে থাকার অনুরোধ করেছেন, ‘আশা করি সত্যর সঙ্গেই থাকবেন, সত্য কখনো মিথ্যা হয় না।’
আজ অভিযোগ চাউর হওয়ার পর তাসকিনের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকা। একসঙ্গে কাছের বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে যে তাসকিনকে আড্ডা দিতে দেখা যায়, তাঁর বিরুদ্ধে হঠাৎ কেন এমন অভিযোগ? ৩০ বছর বয়সী বাংলাদেশের পেসার আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘এখন তো (ওদের সঙ্গে) মিশি না আমরা। আগে মিশতাম একটা সময়।’ তাসকিনের দাবি, মেশেন না বলেই এমন অভিযোগ এসেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
অভিযোগ উঠেছে তাসকিন মদ্যপ অবস্থায় গাড়িতে উঠিয়ে বন্ধুর চোখেমুখে ঘুষি মেরেছেন। এর উত্তরে বাংলাদেশের পেসার বলেন, ‘আরে না, না। মিথ্যে কথা।’
বন্ধুকে মারধরের ঘটনা গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর মিরপুর থানায় যোগাযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন তাসকিন। তিনি বলেন, ‘এইমাত্র (দুপুরে) মিরপুর থানার ওসির সঙ্গেও কথা হয়েছে। যাচাই-বাছাই করেন। কোনো সমস্যা নেই। তারা যে মিথ্যে অভিযোগ আমার নামে দিল, এখন তারাই তো ভয় পাচ্ছে। তারা থানার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। পুলিশের মাধ্যমে ফোন দিয়ে বলছে যে…ঘটনা তো ঘটেছে আমার বন্ধুর সঙ্গে। দেখা হয়েছে। আমার এক বন্ধুর সঙ্গে তারা হাতাহাতি করেছে। মোহাম্মদপুর থানায় যখন ফোন দিলাম, তখন উল্টো মিরপুর থানায় অভিযোগ করেছে।’
তাসকিনের বিষয়টি নিয়ে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ রোমন বলেন, ‘বাল্যবন্ধুর সঙ্গে তাসকিনের হাতাহাতি হয়েছে। এটা নিয়ে তাঁর বন্ধু মিরপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।’