রাজনীতিতে নারী ও তরুণদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন


সিজিএস মুক্ত আলোচনা: রাজনীতিতে নারী ও তরুণদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৫, ১৫: ৪৩
চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে ‘রাজনীতিতে নারী ও যুবাদের ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনা সভা। ছবি: সংগৃহীত
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আজ শনিবার চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে ‘রাজনীতিতে নারী ও যুবাদের ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক এক মুক্ত আলোচনা সভার আয়োজন করে। নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজিত এই সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে তরুণ নাগরিকদের সংলাপের সুযোগ তৈরি করা।
অনুষ্ঠানে সিজিএস সভাপতি জিল্লুর রহমান প্রশ্ন তোলেন, ‘গত বছরের জুলাই আন্দোলনে তরুণ ও নারী সমাজ সামনের সারিতে থাকলেও, আন্দোলনের পরবর্তী বাংলাদেশে নারী ও তরুণদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী হবে?’ তিনি উল্লেখ করেন, এখনো কোনো রাজনৈতিক দল নারীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভূমিকা নিশ্চিত করতে ‘জেন্ডার ইকুয়ালিটি চার্টার’ গ্রহণ করেনি এবং চট্টগ্রামে উচ্চপর্যায়ে কোনো নারীনেতা নেই।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সিটি করপোরেশনের মেয়র বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন নারীর অধিকার রক্ষায় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা এবং আগাম নির্বাচনে নারী প্রার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জামায়াতে ইসলামীর নেতা শাহাজাহান চৌধুরী নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ সত্ত্বেও মূলধারার রাজনীতিতে তাঁদের সঠিক অন্তর্ভুক্তির অভাবের কথা বলেন।
এ সময় সিপিবি নেতা অশোক সাহা জুলাই আন্দোলনকে বৈষম্যবিরোধী প্রতিবাদ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন এবং পারিবারিক রাজনীতিকে ‘ফ্রাংকেনস্টাইন’ আখ্যা দেন।
সাবেক উপমন্ত্রী মনি স্বপন দেওয়ান নারী ও তরুণদের আন্দোলনের সামনের সারিতে থাকার পরও প্রকৃত পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। গণসংহতি আন্দোলনের হাসান মারুফ রুমি আন্দোলনের সময় সাহসী নারীদের অনলাইন হয়রানির শিকার হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।
এনসিপি নেতা জুবাইরুল হাসান আরিফ জানান, তাঁদের দল সর্বোচ্চ পর্যায়ে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ১০০টি সংসদীয় আসনে শুধু নারীদের জন্য সরাসরি ভোটের প্রস্তাব দিয়েছেন।
দর্শক ও তরুণেরা সংরক্ষিত আসন, এআই প্রযুক্তির ঝুঁকি, জুলাই আন্দোলনের পর নারীদের প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধি এবং নতুন বাংলাদেশে নারী ও তরুণদের প্রকৃত অবদান নিয়ে তাঁদের মতামত ও প্রশ্ন তুলে ধরেন।