শিরোনাম
প্রথম টিকিটেই বাজিমাত বাংলাদেশি খোরশেদের, আরব আমিরাতে জিতলেন ১৬ লাখ টাকামহাকাশে বিরল ব্ল্যাকহোলের সন্ধান, গ্রাস করছে নক্ষত্রমেসির অভাব হাড়ে হাড়ে টের পেল মায়ামিমিশিগানে ওয়ালমার্ট স্টোরে ছুরিকাঘাতে অন্তত ১১ জন আহত, সন্দেহভাজন ১ আটকনান্দাইলে লাথি মেরে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ, যুবক আটকযাঁরা মামলা বাণিজ্য করছেন, চাঁদাবাজি করছেন, তাঁদের দিন ফুরিয়ে আসছে: হাসনাতআকিজ গ্রুপে চাকরির সুযোগ, লাগবে না অভিজ্ঞতাযুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া: ট্রাম্পনিবন্ধন প্রত্যাশী পর্যবেক্ষক সংস্থার আবেদন চেয়ে ইসির বিজ্ঞপ্তি জারিসেতু কর্তৃপক্ষের মৌখিক পরীক্ষার সূচি

মাথায় হাত বুলিয়ে, ধমক দিয়ে কাজ করাতে হচ্ছে: সালেহউদ্দিন আহমেদ

মাথায় হাত বুলিয়ে, ধমক দিয়ে কাজ করাতে হচ্ছে: সালেহউদ্দিন আহমেদ

রাষ্ট্রের প্রক্রিয়াগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। মানুষগুলো রয়েই গেছে। মানুষগুলোর কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাদেরই মাথায় হাত বুলিয়ে, ধমক দিয়ে কাজ করাতে হচ্ছে। এ কারণে রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব না। অন্তর্বর্তী সরকার চায়, দ্রুত একটা রাজনৈতিক সরকার এসে দিকনির্দেশনা দিক।

আজ শনিবার ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান রচিত ‘অর্থনীতি, শাসন ও ক্ষমতা: যাপিত জীবনের আলেখ্য’ শীর্ষক বই প্রকাশনা উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ভালো প্রতিষ্ঠান নেই বললেই চলে। আইনের ব্যত্যয় তো হয়েছেই। প্রক্রিয়াগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। আর মানুষগুলো তো রয়েই গেছে। মানুষগুলোর কোনো পরিবর্তন হয়নি। অনেকে বলে সব বাদ দিয়ে দাও। কিন্তু সেটা সম্ভব না। এ জন্য মাথায় হাত বুলিয়ে, ধমক দিয়ে কাজ করাতে হচ্ছে।’

সুশাসন অনেক কঠিন উল্লেখ করে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, সংসদ সদস্য তাঁদের ক্ষমতার চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স নেই। এখানে সংস্কার না হলে যত সংস্কারই করা হোক, কোনো লাভ হবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও সংস্কার দরকার।’

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজনীতি ছাড়া রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব না। আমাদের উন্নয়ন কৌশলে ভুল ছিল, এখনো ঠিক করতে পারছি, তা নয়।’

সংস্কার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আর কয়েক মাসে সবার চাওয়াকে খুব যে খুব জাস্টিস করতে পারব, তা নয়। আমরা চাচ্ছি, দ্রুত একটা রাজনৈতিক সরকার এসে আসুক তারাই গাইড করবে।’

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘দেবতুল্য ক্ষমতার একমাত্রিককরণ স্বৈরচারিতার কারণ। ক্ষমতার কলুষিত মডেল বিতাড়িত করতে হবে।’

অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, ‘স্বাধীনতার পর যে রাষ্ট্র জনগণের হাতে আসার কথা ছিল, তা আসেনি। এটি একটি তাঁবেদারি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছিল, শেখ হাসিনা এটাকে তাঁবেদারি রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল।’

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘দুর্বল শাসন ব্যবস্থা ও কুক্ষিগত ক্ষমতার কারণে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় হয়েছে।’

গবেষক ও লেখক আলতাফ পারভেজ বলেন, ‘সংস্কার আশানুরূপ হচ্ছে না, কারণ সমস্যার গোড়ার দিকে যাচ্ছি না। গত ৫০ বছর ধরেই আমরা স্বৈরতন্ত্রের মধ্যেই আছি।’



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button