সড়কে মরিচের হাট: বাড়ছে ভোগান্তি, দুর্ঘটনার শঙ্কা


মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের দেবীপুর বাজারে সড়কেই চলে মরিচ কেনাবেচা। বিভিন্ন গ্রাম থেকে চাষিরা মরিচ নিয়ে আসেন এই বাজারে। এর আগে মরিচ বিক্রির স্থান ছিল দেবীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে। তবে প্রাচীর দেওয়ায় এখন আর স্কুলের ভেতরে বসতে পারেন না তাঁরা। স্থানীয় ও পথচারীরা বলছেন, দেবীপুর বাজারে মরিচ কেনাবেচার জন্য নির্ধারিত জায়গা থাকা সত্ত্বেও ব্যবসায়ীরা সড়কে চলে আসেন। এতে সড়কে চলাচলে দুর্ভোগ ও ঝুঁকি দেখা দেয়।
পথচারীদের অভিযোগ, মূল বাজার থাকা সত্ত্বেও উপজেলার দেবীপুর বামন্দী-সড়কের ওপর এসে মরিচের বাজার বসান ব্যবসায়ীরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে জনগণ। প্রশাসনের নীরব ভূমিকার কারণেই এসব বাজার রাস্তার ওপরে বসে। আর এ কারণে রাস্তায় যানবাহন নিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় পথচারী ও যানবাহন চালকদের।
স্থানীয়রা বলেন, সপ্তাহে সাত দিনই মরিচের বাজার বসে এখানে।বসার নির্দিষ্ট জায়গা থাকা সত্ত্বেও রাস্তার ওপরেই কেনাবেচা করে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় রাস্তায় চলাচলরত মানুষকে। যানবাহন নিয়ে চলাচলে থাকে দুর্ঘটনার ভয়। এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের বলেও কোনো কাজ হয় না। প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে এটা কোনোভাবেই বন্ধ করা সম্ভব নয়।
পথচারী আলিমুদ্দিন বলেন, ‘দেবীপুরে মরিচের বাজার অত্যন্ত জনপ্রিয়। কিন্তু রাস্তায় হাট বসানোর কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় মানুষকে। দেবীপুর বাজার কর্তৃপক্ষ যদি এর সমাধান না করে, তাহলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কারণ একটি ব্যস্ততম সড়ক। তাই রাস্তার ওপর বাজার বসানো বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’
ভ্যানচালক আজমাইন হোসেন বলেন, এখানে বাজার বসার কারণে অনেক সময় যানজটেরও সৃষ্টি হয়। এতে বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়।
অটোচালক স্বপন আলী বলেন, রাস্তার ওপর মরিচের বাজার বসার কারণে মানুষের চলাচলের চরম বিঘ্ন ঘটে। হাটের নির্দিষ্ট জায়গা থাকা সত্ত্বেও রাস্তার ওপর মরিচের বাজার বসানো উচিত নয়। এটা অনতিবিলম্বে বন্ধ করা দরকার। এটি একটি ব্যস্ততম সড়ক। কখন কোন দুর্ঘটনা ঘটে যায় বলা যায় না। দুর্ঘটনা ঘটে গেলে তখন অনুশোচনা করে আর লাভ হবে না।
মাইক্রোবাসের চালক আলী হোসেন বলেন, প্রশাসনিক নজর না থাকার কারণে এগুলো হয়।
দেবীপুর হাট ইজারাদার সোহাগ হোসেন বলেন, ‘আমরা নির্দিষ্ট বাজারেই মরিচ ক্রয় করি, কিন্তু কিছু ব্যবসায়ী আছে, যারা দৌড়ে রাস্তার ওপর ওঠে মরিচ কেনার জন্য। আমরা আশ্বস্ত করছি, রাস্তার ওপর কোনো ব্যবসায়ীকে মরিচ কিনতে দেওয়া হবে না।’
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বিষয়টা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। কোনো রাস্তার ওপরে হাট বসাতে দেওয়া হবে না। রাস্তার ওপর হাট বসিয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’