ধ্রুপদি বাদনে বর্ষা বৈঠক


আষাঢ় চলছে। নগরে এই বৃষ্টি, এই রোদ। এরই মধ্যে নানা আয়োজনে মেতে উঠেছেন নগরবাসী। আয়োজন করছেন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের আয়োজনে বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের শিক্ষার্থীরা বর্ষা উদ্যাপন করলেন ‘বর্ষা বৈঠক’ নামে ধ্রুপদি বাদনের তালে তালে।
রাজধানীতে ধানমন্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ধ্রুপদি শিল্পীরা বর্ষার আবহ ফুটিয়ে তোলেন। এতে সারেঙ্গি, খেয়াল, সরোদ ও তবলার পরিবেশনা ছিল। বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের শিক্ষার্থীরা এই পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করেন।
শুরুতেই নিলয় হালদারের সারেঙ্গির সুর মোহিত করে দর্শকদের। বর্ষার মধ্যে এক বিষাদ যেন ছড়িয়ে পড়ে হলরুমে। তাঁর সঙ্গে তবলায় সহযোগিতা করেন দেবাদিত্য বণিক। দর্শকদের তালি বলে দেয়, কতটা হৃদয়গ্রাহী করেছে নিলয়ের সারেঙ্গির সুর।
এরপর খেয়াল পরিবেশন করেন সুদর্শন দাস। তাঁকে তবলায় সহযোগিতা করেন আপন বিশ্বাস এবং হারমোনিয়ামে ছিলেন ধ্রুব সরকার। এরপরে আসে সরোদ বাজানোর পালা। সরোদে সুর তোলেন শাহাদাত হোসেন। তাঁর সঙ্গে তবলায় যোগ দেন প্রাণেশ বসাক। তবলার তাল আর সরোদের সুর মাতিয়ে তোলে দর্শকদের।
একটি যন্ত্রসংগীত শেষ হওয়ার পরে শুরু হয় একটি কণ্ঠসংগীত—এভাবে এগিয়ে চলে বর্ষা বৈঠকের আসর। সরোদের সুরের পরে একটি ধ্রুপদি গান পরিবেশন করেন সংহতি ঘোষ রমা। পাখাওয়াজে তাঁকে সংগত করেন দেবাদিত্য বণিক।
আয়োজনের জৌলুশ বাড়িয়ে দেয় শেষ পরিবেশনা। উর্জিত অনুনাদ ও অপূর্ব জ্যোতি দত্তের যুগল তবলা বাদন দারুণ পরিবেশ সৃষ্টি করে। তাঁদের সঙ্গে হারমোনিয়ামে সংগত করেন কুমার প্রতিবিম্ব।
আয়োজকেরা বলছেন, বর্ষা বৈঠক সংগীতের শিক্ষার্থীদের একটি নিয়মিত আয়োজন। বাংলা সংস্কৃতি উদ্যাপন করতে ধ্রুপদি সংগীতের এই তরুণ শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।