ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে নরসুন্দর বাবা-ছেলেকে হেনস্তার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ


লালমনিরহাটে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে নরসুন্দর বাবা-ছেলেকে হেনস্তা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। সোমবার (২৩ জুন) রাত ১০ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করে জগন্নাথ হল ও অন্যান্য হল ও ছাত্র সংগঠনের শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘এক দেশে দুই বিচার মানি না মানবো না’, ‚হিন্দু মুসলিম ঐক্য করো, অভ্যুত্থান রক্ষা করো’ এসব স্লোগান দিতে থাকে।
বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেন, যখন প্রফেসর ইউনুস ইন্টেরিমের ক্ষমতা নিয় আমাদের বললেন, আপনারা হিন্দু হিসেবে অধিকার চাইবেন না, মুসলিম হিসেবে অধিকা চাইবেন না, বৌদ্ধ হিসেবে অধিকার চাইবেন না, আপনারা বাংলাদেশি হিসেবে অধিকার চান। আজ আমরা বাংলাদেশি হিসেবে আমাদের ন্যায্য অধিকার চেয়ে নিতে এখানে একত্রিত হয়েছি। ধর্ম অবমাননার নামে যে ঘটনাগুলো ঘটনা হচ্ছে মব সৃষ্টি করে এগুলো আসলে ধর্ম অবমাননা না। ধর্ম অবমাননার নামে যারা ক্ষমতাহীন, সংখ্যালঘু তাদের উপর নির্যাতনের হাতিয়ার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন শিক্ষার্থী অর্ণি আনজুম বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় একটা সংগঠিত উগ্র গোষ্ঠী মব সৃষ্টি করে জুলুম নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ইন্টেরিম এখন পর্যন্ত কোন মব সন্ত্রাসের কোন ঘটনার কোন বিচার করে নি। ইন্টেরিম সরকার এখানে পুরোপুরি ব্যর্থ।
উল্লেখ্য, সোমবার (২৩ জুন) দুপুর ২ ঘটিকার সময় লালমনিরহাটে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে হিন্দু ধর্মাবলম্বী পিতা-পুত্র নরসুন্দর পরেশ চন্দ্র শীল ও বিষ্ণুচন্দ্র শীলকে ধর্ম অবমাননার নামে মারধর করে এবং পরবর্তী থানায় সোপর্দ করে।
পরেশ চন্দ্র শীলের পরিবার সূত্রে জানা যায় তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন ধর্ম অবমাননার অভিযোগ পাওয়া যায় নি। সেলুনে চুল কেটে ১০ টাকা কম দেওয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি থেকে মব তৈরি করে তাদের উপর নির্যাতন করা হয় এবং পরে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।