ইবিতে সভা-সমাবেশের জন্য অনুমতি নিতে হবে, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা


ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) তালিকাভুক্ত সংগঠন ছাড়া কোনো সভা, সমাবেশ বা মানববন্ধনসহ কর্মসূচি পালন করতে হলে প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে। আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এসব কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত নয় এমন কোনো সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের কর্মসূচি পালন করতে পারবে না। কোনো সংগঠন তালিকাভুক্ত হতে চাইলে তাদের উপদেষ্টা পরিষদের তালিকা, গঠনতন্ত্র ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছাত্র-উপদেষ্টা অফিসে জমা দিতে হবে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ নির্দেশনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সমালোচনা করছেন। তাঁরা এটিকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর ‘অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা’ বলে উল্লেখ করেন।
শাখা ছাত্রশিবির এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানান। সংগঠনের নেতারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর অযৌক্তিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
জানতে চাইলে ইবি সংস্কার আন্দোলনের সদস্য মো. শান্ত শিশির ক্রাইম জোন ২৪কে বলেন, ‘আপনারা কেউ আর কোনো দাবি নিয়ে মাঠে আসবেন না। আগে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে নিবন্ধিত সংগঠন গড়ে তুলুন, তারপর দাবি নিয়ে আসুন। বিষয়টা হাস্যকর হয়ে গেল না। শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত কণ্ঠস্বরকে ভয় পান, নাকি তাঁদের ন্যায্য অধিকার দিতে ভয় পান?’
এ বিষয়ে ছাত্র-উপদেষ্টা ওবায়দুল ইসলাম বলেন, যেকোনো সংগঠনকে একটি সিস্টেম্যাটিক উপায়ে আনার জন্য এটি দেওয়া হয়েছে। এ রকম একটি প্রজ্ঞাপন আগেও ছিল। হঠাৎ করে কর্মসূচি গ্রহণ করলে অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ছাড়া একটি পক্ষ ছোটখাটো ইস্যু নিয়ে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার জন্য সক্রিয় রয়েছে। ছাত্রদের কল্যাণেই এটি দিয়েছি।’
ক্রাইম জোন ২৪