শিরোনাম
বরিশালে ঋণের চাপ সহ্য করতে না পেরে যুবকের আত্মহত্যাশ্যালিকাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে দুই শিশুকে খুন, দুলাভাইয়ের মৃত্যুদণ্ডহিজলায় জামায়াত ইসলামীর হেয়ালি পনায় অনুপ্রবেশ করছে আওয়ামী লীগ ব্যার্থ হচ্ছে ছাত্র জনতার আত্মত্যাগশ্রমিক দিবসে গৃহকর্মীদের জন্য ন্যায্যতা ও স্বীকৃতির দাবি থেকে আভাস-এর আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনশিশুদের চোখে নববর্ষ: রঙ, আনন্দ আর শোভাযাত্রার গল্পএর বিচার না হলে মানুষ আস্থা হারাবে বিএনপি থেকেবরিশালে ছাত্রলীগ নেতাকে নিয়ে বিপাকে পুলিশপতাকা গায়ে জড়িয়ে ইমোশনাল মার্কেটিং—বয়কটের মুখে মোজোসোহরাওয়ার্দী অভিমুখে ‘মার্চ ফর গাজা’আওয়ামী লিগ’সহ পাঁচ দলের নামে ইসিতে নিবন্ধন আবেদন

বরিশালের ৫ আসনে লড়াকু প্রার্থীর সন্ধানে বিএনপি

বরিশালের ৫ আসনে লড়াকু প্রার্থীর সন্ধানে বিএনপি

ক্রাইম জোন ২৪।। বরিশাল অঞ্চলের পাঁচটি সংসদীয় আসনে নির্বাচনী লড়াইয়ে টিকে থাকতে উপযুক্ত প্রার্থীর সন্ধানে নেমেছে বিএনপি। ঐতিহ্যগতভাবে এই আসনগুলোর বেশ কয়েকটিতে দলটি কখনোই জয় পায়নি, এমনকি কোনো কোনো আসনে জামানত হারানোর নজিরও রয়েছে। তাই আসন্ন নির্বাচনে দলীয় শক্তি পুনর্গঠনের জন্য বিএনপি ক্লিন ইমেজ ও জনপ্রিয় নেতৃত্ব খুঁজছে।

পিরোজপুর-১ (সদর-ইন্দুরকানী-নাজিরপুর):
১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপি মনোনয়ন পেয়েছিলেন মরহুম গাজী নুরুজ্জামান বাবুল। প্রথমবার আওয়ামী লীগের কাছে হেরে গেলেও ১৯৯৬ সালে চতুর্থ স্থানে থেকে জামানত হারান তিনি। এরপর দলটি এখানে কোনো প্রার্থী দেয়নি এবং ২০০১ ও ২০০৮ সালে জামায়াতকে আসনটি ছেড়ে দেয়।

এবারও জামায়াতের মনোনয়ন পেয়েছেন দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর বড় ছেলে মাসুদ সাঈদী, যিনি ইতোমধ্যে প্রচারে নেমেছেন। বিএনপি থেকে এই আসনে মনোনয়ন চাইছেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এলিজা জামান, জেলা আহ্বায়ক অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম খান।

পিরোজপুর-২ (ভাণ্ডারিয়া-কাউখালী-স্বরূপকাঠি):
এখানে বিএনপির নির্বাচনী ইতিহাস বেশ করুণ। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে হওয়া পাঁচটি নির্বাচনের তিনটিতেই দলটি জামানত হারিয়েছে। এবার এই আসনে জামায়াত মনোনয়ন দিয়েছে দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর মেজো ছেলে শামিম সাঈদীকে।

বিএনপির পক্ষ থেকে মনোনয়ন চাইছেন শিল্পপতি মাহমুদ হোসেন, ভাণ্ডারিয়া বিএনপির আহ্বায়ক আহম্মেদ সোহেল মঞ্জুর ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম লাবু।

পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা):
এই আসনটি আওয়ামী লীগের শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত। ২০০৮ সালে বিএনপি এখানকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের তৎকালীন অচেনা প্রার্থী গোলাম মাওলা রনির কাছেও ৫৯ হাজার ভোটে হেরেছিল।

এবার বিএনপির মনোনয়ন চাইছেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন, যিনি স্থানীয়ভাবে বেশ জনপ্রিয়। বিএনপির নেতাকর্মীরা আশাবাদী যে, এবার পরিস্থিতি বদলাতে পারে।

পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী):
এই আসনেও কখনো জয় পায়নি বিএনপি। তবে দলের দাবি, আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের দমন-পীড়নের কারণে নৌকার দুর্গ এখন অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে।

এখানে মনোনয়ন চাইছেন কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ও সাবেক উপজেলা সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির।

বরগুনা-১ (সদর-আমতলী-তালতলী):
২০০১ সালের নির্বাচনে এখানে আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী প্রার্থীর লড়াইয়ের সুযোগ নিয়েও বিএনপি জামানত হারায়। এবার এই আসনে দলীয় মনোনয়ন চাইছেন সহ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ জামান মামুন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা এবং সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রেজভিউল কবির।


বিএনপির স্থানীয় নেতারা মনে করছেন, বরিশাল অঞ্চলের এসব আসনে জয় পেতে হলে দলকে শক্তিশালী ও লড়াকু প্রার্থী মনোনয়ন দিতে হবে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যারা মাঠে কাজ করবে, তারাই দলকে বিজয় এনে দিতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন নেতাকর্মীরা।

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button