শিরোনাম

পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনতাই, যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনতাই, যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

ক্রাইম জোন ২৪।। ভোলার চরফ্যাশনে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি ঢালচর ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোক্তার ফরাজীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে র‌্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে শুক্রবার তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়।

২০২৪ সালের ৬ মার্চ ভোলার দক্ষিণ আইচা থানার ঢালচর ইউনিয়নের ভদ্রপাড়া এলাকায় মেঘনা নদীর তীরে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে শরীফ নামে একজন তার মোবাইল ফোনে এই জঘন্য অপরাধের ভিডিও ধারণ করে। এক বছর পর শরীফ সেই ভিডিও নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করলে মুহূর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়।

২৫ ফেব্রুয়ারি ভিকটিম বাদী হয়ে দক্ষিণ আইচা থানায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এরপর তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ ধর্ষণ মামলার ৩ নম্বর আসামি ইসমাইলকে (২২) গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে ঢালচর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি শাহ আলম, সহ-সভাপতি মোক্তার ফরাজী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ফেরদাউস এবং জিয়া পরিষদের সভাপতি মামুনের নেতৃত্বে বিএনপির একাংশের শতাধিক কর্মী-সমর্থক বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে তারা থানায় হামলা চালিয়ে পুলিশ হেফাজতে থাকা আসামি ইসমাইলকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

এই ঘটনায় তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-৬)।

মামলার পর থেকে প্রধান অভিযুক্ত মোক্তার ফরাজী পলাতক ছিলেন। অবশেষে র‌্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে দক্ষিণ আইচা থানায় হস্তান্তর করা হয় এবং আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

দক্ষিণ আইচা থানার ওসি এরশাদুল হক ভূঁইয়া জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালিত হয়। পুলিশ জানায়, মামলার অন্যান্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button