ভোলায় ৮ টিসিএফ গ্যাস মজুদ: সচিব


জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভোলার দুটি গ্যাসফিল্ড থেকে দৈনিক ৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস এলএনজি আকারে আনার প্রক্রিয়া চলছে। ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে সরবরাহ শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এলএনজি সরবরাহের পাশাপাশি ভোলা-বরিশাল-খুলনা এবং বরিশাল থেকে ঢাকা পর্যন্ত পাইপলাইন নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ওই এলাকায় ৮ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ) গ্যাস মজুদ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশের (এফইআরবি) নির্বাহী কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব তথ্য জানান।
ভোলার দুটি গ্যাসফিল্ডে মোট ৯টি কূপ খনন করা হয়েছে, যা থেকে প্রতিদিন প্রায় ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন সম্ভব। বর্তমানে চাহিদা না থাকায় মাত্র ৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে, তবে পাইপলাইন না থাকায় জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। নতুন করে আরও ১০টি কূপ খননের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
গ্যাস সংকট প্রসঙ্গে সচিব বলেন, সরকার স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গ্যাস চুরি ও সিস্টেম লস কমানো, কূপ সংস্কার করে উৎপাদন বাড়ানো এবং নতুন কূপ অনুসন্ধান ও খনন। ইতোমধ্যে ১০০টি নতুন কূপ খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং বাপেক্সের জন্য তিনটি নতুন রিগ কেনা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৪ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে আসছে প্রায় অর্ধেক এবং ২৫ শতাংশ এলএনজি আমদানি করে পূরণ করা হচ্ছে। ফলে ২৫ শতাংশ ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। আমদানি করা গ্যাসের দাম বেশি হওয়ায় গ্যাসের মূল্যসীমা সমন্বয়ের পরিকল্পনা করছে সরকার।
পেট্রোবাংলার তথ্যমতে, দেশে অনুমোদিত লোডের পরিমাণ ৫ হাজার ৩৫৬ মিলিয়ন ঘনফুট হলেও সরবরাহ করা হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট, ফলে প্রায় ১ হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট ঘাটতি রয়েছে। নতুন অনুসন্ধান ও উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।