শিরোনাম
চার দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের গণছুটির ঘোষণা পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারীরাপাহাড়িয়াদের উচ্ছেদ প্রক্রিয়ার প্রতিবাদ, বৃক্ষরোপণআজকের নামাজের সময়সূচি: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫বাংলাদেশে আর এক ব্যক্তির শাসনব্যবস্থা চলবে না: বিএনপি নেতা এ্যানিবুথের সংখ্যা বাড়িয়ে ৮১০ করল ডাকসু নির্বাচন কমিশনআমাদের ধর্ম, লিঙ্গ ও জাতিগত বিভাজনের উর্ধ্বে উঠতে হবে: প্রধান বিচারপতিচট্টগ্রামে পদদলিত হয়ে আহত একজন আইসিইউতে, মেলেনি পরিচয়অতিরিক্ত সহিংসতা হলে নির্বাচন ভঙ্গুর হয়ে যাবে: উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদঅযাচিতভাবে ডাকসুর ভোট চাওয়ায় কর্মীকে বহিষ্কার করল ছাত্রদলসেই জামায়াত নেতার কাছে ব্যাখ্যা চাইল চবি প্রশাসন

রিমান্ড শেষে কারাগারে বেরোবির সাবেক ভিসি কলিমুল্লাহ

রিমান্ড শেষে কারাগারে বেরোবির সাবেক ভিসি কলিমুল্লাহ

দুর্নীতির মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক উপাচার্য (ভিসি) ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি তার জামিনের আবেদন নাকচ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক সাব্বির ফয়েজ এসব আদেশ দিন।

কলিমুল্লাহকে রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে কলিমুল্লার পক্ষে তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। তার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মহাসিন রেজা, মহিমা বাঁধন ও সাদমান সাকিব। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের বিশেষ পিপি তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত ২৭ আগস্ট কলিমুল্লাহকে পাঁচ দিনে রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

গত ৭ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ড. কলিমুল্লাহকে আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ওইদিন দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ডিবির একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে।

গত ১৮ জুন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ড. কলিমুল্লাহসহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। অপর আসামিরা হলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও প্রকল্প পরিচালক এ কে এম নূর-উন-নবী, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদার মো. আ. সালাম বাচ্চু এবং এম এম, হাবিবুর রহমান।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) উপেক্ষা করে প্রকল্পের নকশা পরিবর্তন করেন।

এ ছাড়া ৩০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের চুক্তি শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমোদন ছাড়াই সম্পাদন করা হয়। ঠিকাদারের বিল থেকে কাটা নিরাপত্তা জামানতের অর্থ এফডিআর করে ব্যাংকে জমা রেখে, তা লিয়েনে দিয়ে ঠিকাদারকে ব্যাংক ঋণ নেওয়ার অনুমতি দেন অভিযুক্তরা। এই প্রক্রিয়ায় সরকারের প্রায় ৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

মামলায় আরও বলা হয়, ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তিতে অগ্রিম টাকা দেওয়ার কোনো নিয়ম না থাকলেও “আর্থিক সহায়তা”র অজুহাতে ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে অগ্রিম বিল প্রদান করা হয়। তবে সেই বিল পরিশোধের আগেই ব্যাংক গ্যারান্টি ছাড় করে দেওয়া হয়, যা ছিল সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত।

এছাড়া প্রথম পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত নকশা বাতিল করে সরকারি ক্রয় বিধিমালা লঙ্ঘন করে দ্বিতীয় একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়। সর্বশেষ দরপত্রে অস্বাভাবিক মূল্য প্রস্তাব (ফ্রন্ট লোডিং) থাকা সত্ত্বেও যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি বলেও মামলায় উল্লেখ রয়েছে।


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button