জামিন পেলেন শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে


রাষ্ট্রীয় তহবিল অপব্যবহারের অভিযোগে গত সপ্তাহে গ্রেপ্তার হওয়া শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহেকে দেশটির একটি আদালত জামিন দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) এ জামিন মঞ্জুর করা হয়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যগত কারণে আদালতের শুনানিতে রনিল বিক্রমাসিংহে দেশটির সরকারি হাসপাতাল থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে যুক্ত হন। তাঁকে ৫০ লাখ রুপি (১৬,৬০০ ডলার) বন্ডের শর্তে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী ২৯ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিক্রমাসিংহের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যে একটি ব্যক্তিগত সফরে সরকারি তহবিল থেকে ৫৫ হাজার ডলার খরচ করেছিলেন। তিনি তাঁর স্ত্রীর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এই সফরে গিয়েছিলেন।
কলম্বো ফোর্ট ম্যাজিস্ট্রেট নিলুপুলি লঙ্কাপুরা কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে এই দীর্ঘ শুনানি পরিচালনা করেন। শুনানির আগে কলম্বোর আদালতের বাইরে বিক্রমাসিংহের শত শত সমর্থক ও বিরোধী রাজনীতিবিদ জড়ো হয়েছিলেন।
বিক্রমাসিংহের দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি) দাবি করেছে, তাঁর বিরুদ্ধে মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, যদিও প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েকের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন দল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ইউএনপির ডেপুটি লিডার আকিলা বিরাজ কারিয়াওয়াসাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই বিক্ষোভ আমাদের বিচার বিভাগের স্বাধীনতার লক্ষণ।’
৭৬ বছর বয়সী বিক্রমাসিংহে পেশায় আইনজীবী। ২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রেকর্ড ছয়বার দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বিক্রমাসিংহে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তাঁর স্ত্রীর যুক্তরাজ্য সফরের খরচ ব্যক্তিগত তহবিল থেকে মেটানো হয়েছিল।
২০২২ সালে শ্রীলঙ্কা যখন ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে তখন রনিল বিক্রমাসিংহে (জুলাইয়ে) প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। তাঁর মেয়াদকালে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা নিশ্চিত করেন এবং কঠোর ব্যয় সংকোচন নীতি গ্রহণ করে অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনেন।
ক্রাইম জোন ২৪