শিরোনাম

আবারও ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে আটক শুরু, নাগরিকত্ব হারানোর ভয়ে আসামের হাজারো পরিবার

আবারও ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে আটক শুরু, নাগরিকত্ব হারানোর ভয়ে আসামের হাজারো পরিবার

ভারতের আসাম রাজ্যে আবারও শুরু হয়েছে ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে ধরপাকড়। রাজ্য সরকার দাবি করছে, সীমান্ত পেরিয়ে আসামে অনেক বাংলাদেশি ঢুকেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স বলছে, বাস্তবে এই অভিযানের মূল শিকার হচ্ছেন প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে আসামে থাকা বাংলা ভাষাভাষী পরিবারগুলো। তাদের বাড়িঘর ভাঙা হচ্ছে, উচ্ছেদ করা হচ্ছে। শুধু গত কয়েক মাসেই ৩৪০০টিরও বেশি বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে।

ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, এটি বেশ পরিকল্পনা করেই করা হচ্ছে। মানুষের নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়ে তাঁদের ‘রাষ্ট্রহীন’ করে দেওয়া হচ্ছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন নিয়মে প্রাপ্তবয়স্কদের আধার কার্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বেশি ভুগবেন। আধার কার্ড না থাকলে নাগরিক পরিচয় দেওয়া আরও কঠিন হয়ে যাবে।

২০১৯ সালের এনআরসি থেকে বাদ পড়া প্রায় ১৯ লাখ মানুষের অবস্থা এখনো অনিশ্চিত। অনেকের নাম ভোটার তালিকা থেকেও কেটে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের আগে আবারও তালিকা যাচাই শুরু হয়েছে, যাতে আরও মানুষ ভোটাধিকার হারানোর আশঙ্কায় ভুগছেন। কলকাতার মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, ‘ভোটাধিকার হারানো মানেই নাগরিকত্বই প্রশ্নের মুখে পড়া।’

সম্প্রতি খায়রুল ইসলাম নামে আসামের স্থানীয় শিক্ষককে বাংলাদেশে পুশ ইন করা হয়েছে। তাঁর স্ত্রী ন্যাশনাল হেরাল্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, ‘আমার স্বামী ভারতীয় নাগরিক। আমরা ন্যায়বিচার চাই।’

আসামে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মনে এখন একটাই ভয়, আজ হয়তো তারা নাগরিক, কিন্তু কাল সকালে যদি প্রশাসন এসে বলে, ‘তুমি বিদেশি’ তাহলে দাঁড়াবেন কোথায়?

এটাই আসামের আজকের চিত্র। বাঙালি মানেই এখন সন্দেহ। নাগরিকত্ব হারানোর আতঙ্কে রাত কেটে যাচ্ছে হাজারো পরিবারের।


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button