শিরোনাম

আলাস্কা বৈঠকে পুতিনের দেহরক্ষীর হাতে ‘মলমূত্রবাহী স্যুটকেস’ কেন

আলাস্কা বৈঠকে পুতিনের দেহরক্ষীর হাতে ‘মলমূত্রবাহী স্যুটকেস’ কেন

গত সপ্তাহে আলাস্কায় অনুষ্ঠিত হলো রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষ সম্মেলন। এই সম্মেলনের প্রস্তুতির সময় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে একটি চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যখন বিদেশ সফরে যান, তখন তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা সঙ্গে একটি বিশেষ ‘মলমূত্রের স্যুটকেস’ বহন করেন।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুতিনের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁর মল-মূত্র সংগ্রহ করে বিশেষ ব্যাগে ভরে স্যুটকেসের ভেতর করে রাশিয়ায় ফেরত নিয়ে যান। এটি পুতিনের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থারই একটি অংশ।

ফ্রান্সের সাপ্তাহিক গসিপ ম্যাগাজিন ‘প্যারিস ম্যাচ’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই অদ্ভুত প্রথার কথা প্রথম সামনে আসে। অনুসন্ধানী সাংবাদিক রেগিস জেন্টে এবং মিখাইল রুবিন জানান, প্রেসিডেন্ট ফেডারেল প্রোটেকশন সার্ভিসের (এফপিএস) সদস্যরা পুতিনের মল-মূত্র সংগ্রহ করার দায়িত্বে থাকেন। ধারণা করা হয়, এই প্রথা বহু বছর ধরে চলে আসছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যাতে পুতিনের বর্জ্যের নমুনা সংগ্রহ করতে না পারে। কারণ এসব নমুনা পরীক্ষা করে তাঁর স্বাস্থ্য সম্পর্কে সংবেদনশীল তথ্য পাওয়া সম্ভব।

বিবিসির সাংবাদিক ফরিদা রুস্তামোভা দাবি করেন, ১৯৯৯ সালে পুতিন ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই প্রথা চালু হয়েছে। তিনি ২০১৭ সালে পুতিনের ফ্রান্স সফরের সময় প্রথম এই বিষয়ে প্রতিবেদন করেন। ওই প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, পুতিন ভিয়েনা সফরের সময় একটি পোর্টেবল টয়লেটও ব্যবহার করেছিলেন।

এই প্রতিবেদনগুলো এমন সময়ে প্রকাশিত হলো যখন পুতিনের স্বাস্থ্য নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। সম্প্রতি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের একটি বৈঠকের ভিডিওতে তাঁর পায়ে তীব্র কাঁপুনি দেখা যায়। এই ভিডিও থেকে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে,৭২ বছর বয়সী পুতিন সম্ভবত পারকিনসন রোগে ভুগছেন। তাঁর শরীরে এক্সোস্কেলেটন ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও জল্পনা ওঠে।

২০২৩ সালে পুতিন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো এবং কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় একটি সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার সময়ও তাঁর শরীরে একই ধরনের কাঁপুনি দেখা গিয়েছিল।

২০২২ সালে, ‘এক্সপ্রেস ইউএস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জেনারেল এসভিআর টেলিগ্রাম চ্যানেলগুলোতে গুজব ছড়ানো হয়েছিল যে পড়ে যাওয়ার পর পুতিন মলত্যাগ করে ফেলেছিলেন। পরবর্তীতে ক্রেমলিন এসব মন্তব্যকে ‘ভিত্তিহীন গুজব’ বলে উড়িয়ে দিয়ে জানায়, শত্রুরা এসব রটাচ্ছে।


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button