৫৫ হাজার টাকার মোবাইল ফোনের জন্য স্কুলছাত্রের কাণ্ড


৫৫ হাজার টাকার মোবাইল কেনার বায়না ধরে সাব্বির মোল্লা (১৬) নামের এক স্কুলছাত্র কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। টের পেয়ে স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাসপাতালের চিকিৎসাসেবায় সে প্রাণে বেঁচে যায়। তার এমন কর্মকাণ্ডে পরিবার ও এলাকাবাসী হতবাক।
ঘটনাটি ঘটেছে আজ বৃহস্পতিবার বরগুনার আমতলী উপজেলার দক্ষিণ ঘটখালী গ্রামে।
জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ ঘটখালী গ্রামের বাসিন্দা ওমর ফারুক মোল্লা (৩৬) পৌর শহরে অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালান। একমাত্র ছেলে সাব্বির মোল্লা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত কয়েক দিন ধরে ছেলে বাবার কাছে ৫৫ হাজার টাকার দামের মোবাইল কেনার বায়না ধরে। কিন্তু অটোচালক বাবার পক্ষে এত টাকায় মোবাইল কিনে দেওয়া সম্ভব নয়। এতে বাবার সঙ্গে অভিমান করে ছেলে সাব্বির।
আজ সকালে সাব্বির ১০টি ঘুমের ওষুধ ও সঙ্গে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। বিষয়টি জানতে পেরে স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
জানতে চাইলে সাব্বিব মোল্লা বলে, ‘বাবার কাছে ৫৫ হাজার টাকায় মোবাইল কিনে দেওয়ায় বায়না ধরেছিলাম, কিন্তু বাবা মোবাইল কিনে দেয়নি। তাই বাবার সঙ্গে অভিমান করে ১০টি ঘুমের ওষুধ ও কিছু কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলাম।’
সে আরও বলে, ‘আসলে আমার ভুল হয়েছে। আমি বুঝতে পারিনি। আমার বাবার পক্ষে এত টাকা দিয়ে মোবাইল ফোন কিনে দেওয়া সম্ভব না।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার লুনা বিনতে হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, কীটনাশক পান করা এক ছাত্রকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখন সে সুস্থ আছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ‘অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ক্রাইম জোন ২৪