শিরোনাম
অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে বড় অবদান রেখেছেন, এবার ভোট দেবেন: প্রবাসীদের প্রধান উপদেষ্টাপ্রত্যেক উপদেষ্টা আখের গোছাচ্ছেন: রাশেদশিক্ষা উপবৃত্তির টাকা সহজে পৌঁছে দিচ্ছে নগদহালকা রঙের পোশাক পরলে মশা কামড়ায় না! মশা থেকে বাঁচার আরও উপায় জেনে নিনপিরোজপুরে সাবেক সাবরেজিস্ট্রার ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলামেঘনায় জাহাজের ধাক্কায় মালবোঝাই জাহাজডুবিস্লোগাননির্ভর রাজনীতির দিন শেষ, জনগণ পরিবর্তন চায়: তারেক রহমানরোগীর সেবা-শুশ্রূষার বিষয়ে নবীজির নির্দেশনাএক ব্যক্তিকে দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী চান না ৮৯ শতাংশ মানুষ: সুজনের জরিপকোম্পানীগঞ্জ বিএনপি সভাপতির পদ স্থগিত

‘নিউমার্কেটে দেশীয় অস্ত্রের রমরমা, বিনা খরচে হোম ডেলিভারি’

‘নিউমার্কেটে দেশীয় অস্ত্রের রমরমা, বিনা খরচে হোম ডেলিভারি’

রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় বিশেষ অভিযানে ১ হাজার ১০০ টিরও বেশি দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, ছিনতাই ও চাঁদাবাজিতে ব্যবহৃত এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ছুরি ও সামুরাই চাপাতি। অভিযান চলাকালীন তিনটি দোকান থেকে ৯ জনকে আটক করা হয়েছে, যারা অবৈধ অস্ত্র বিক্রি ও সরবরাহের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

গতকাল শনিবার দিনভর এই অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেড। রাতে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ আর্মি ক্যাম্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ব্রিগেড অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজিম আহমেদ এ তথ্য জানান।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজিম আহমেদ জানান, সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকায় কিশোর গ্যাং ও ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া অপরাধীদের কাছ থেকে প্রায়শই ‘সামুরাই’ ছুরি উদ্ধার করা হয়। গোয়েন্দা তথ্য এবং গ্রেপ্তারকৃত কয়েকজন সন্ত্রাসীর জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, এই ধরনের অস্ত্র নিউমার্কেট এলাকা থেকে গোপনে বিক্রি ও ভাড়া দেওয়া হতো। এমনকি গ্রাহকদের কাছে বিনা মূল্যে হোম ডেলিভারিও দেওয়া হতো।

তিনি আরও বলেন, দুই দিনের ধারাবাহিক অভিযানে নিউমার্কেটের বিভিন্ন দোকান ও গুদাম থেকে উদ্ধার হওয়া এসব অস্ত্র গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত হয় না। বরং এগুলো গত কয়েক মাসে সংঘটিত একাধিক হত্যাকাণ্ড, আহত করার ঘটনা, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত হয়েছে। বিক্রেতারা দোকানের সামনে অন্যান্য জিনিসপত্র বিক্রি করলেও এসব অস্ত্র গুদামে লুকিয়ে রাখত এবং কুরিয়ারের মাধ্যমে হোম ডেলিভারি দিত, যার প্রধান ক্রেতা ছিল কিশোর গ্যাং সদস্যরা।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই কর্মকর্তা জানান, আজকের অভিযান ছাড়াও এ পর্যন্ত ৩০৬টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং প্রায় ৮ হাজার ২১৫ রাউন্ড অ্যামুনেশন (গুলি) উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। এর আগে আরও ৫৩৮টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। এ ছাড়া আদাবর, শেরে বাংলা ও মোহাম্মদপুর থেকে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, মাদক ব্যবসা ও দুষ্কর্মের সঙ্গে জড়িত ৮১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজিম আহমেদ জানান, উদ্ধার করা অস্ত্রগুলো গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অপরাধীদের কোনো যোগসাজশ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত চলছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের এই ধরনের ধারালো অস্ত্র বিক্রি না করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button