শিরোনাম
নারীর ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পেয়ে বিগলিত বৃদ্ধ, হারালেন ৯ কোটি রুপিশিক্ষার্থীদের কারিগরিমুখী করতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে, জানালেন সচিবনির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রকারীদের নাম প্রকাশ করুন: সরকারকে ফারুকগত এক বছরে সমাজে বৈষম্য বেড়েছে: সাইফুল হকমামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ক্রোক থাকবে এস আলমের ২০০ কোটির সম্পত্তিপানিতে তলিয়েছে সন্তানের কবর, কাঁদলেন এক বাবাওপেনএআই মাইক্রোসফটকে গিলে খাবে: নাদেলাকে মাস্কের সতর্কবার্তাআবাসিক এলাকা দিয়ে রেলের কর্ডলাইন নির্মাণের প্রস্তাবের প্রতিবাদে বিক্ষোভচীন সফর বাতিল করল আর্জেন্টিনা, নতুন প্রতিপক্ষ কারাচট্টগ্রামে সেতু ধসের ঘটনায় ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি

জুমার আজানের পর যেসব কাজ করা হারাম

জুমার আজানের পর যেসব কাজ করা হারাম

জুমার নামাজ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। এটি মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। প্রাপ্তবয়স্ক ও মানসিকভাবে সুস্থ সব পুরুষের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। জুমার খুতবা শোনাও ওয়াজিব। তাই জুমার জন্য আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে উপস্থিত হওয়া মুমিনের কর্তব্য।

ইসলামের প্রথম যুগে জুমার আজান একটি ছিল। তখন শুধু খুতবার আগেই আজান দেওয়া হতো। পরে মানুষের অবহেলা বেড়ে গেলে ইসলামের তৃতীয় খলিফা হজরত উসমান (রা.) প্রথম আজানটি চালু করেন। এ বিষয়ে সাহাবায়ে কেরাম ঐকমত্য পোষণ করেন। ফলে ইজমার মাধ্যমে প্রথম আজানও জুমার অংশে পরিণত হয়।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা জুমার আজানের পর যে বেচাকেনা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন, তা মূলত জুমার দ্বিতীয় আজান। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘হে মুমিনগণ, জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত ছুটে যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা উপলব্ধি করো।’ (সুরা জুমুআ: ৯)

আলিমগণ বলেন, জুমার দ্বিতীয় আজানের পর সব ধরনের পার্থিব কাজকর্ম করা হারাম। এতে কারও দ্বিমত নেই। আর প্রথম আজান সম্পর্কে ফকিহগণ বলেছেন, প্রথম আজানের পরও জুমার প্রস্তুতিমূলক কাজ—যেমন গোসল, অজু, টয়লেট, কাপড় পরিধান ইত্যাদি ছাড়া অন্য কোনো কাজ করাও নাজায়েজ।

কেউ কেউ প্রথম আজানের পর পার্থিব কাজ তথা বেচাকেনা, চাকরির ডিউটি ইত্যাদিকে মাকরুহে তাহরিমি বলেছেন। তাই প্রথম আজানের পর সব ধরনের ব্যস্ততা থেকে মুক্ত হয়ে আগে আগে মসজিদে চলে যাওয়া উচিত।

সূত্র: বুখারি: ৮৭৮; ফাতহুল বারি: ২ / ৪১৯; কুরতুবি: ১৮ / ৭০; আহকামুল কোরআন: ৪ / ৬৪; আলবাহরুর রায়েক: ২ / ১৫৬; ফাতাওয়া উসমানি: ১ / ৫৮০।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button