শিরোনাম

মাদারীপুরে ৩৪টি স্লুইস গেটের ২৯টিই অকেজো, চুরি হয়ে গেছে যন্ত্রপাতি

মাদারীপুরে ৩৪টি স্লুইস গেটের ২৯টিই অকেজো, চুরি হয়ে গেছে যন্ত্রপাতি

মাদারীপুর জেলার স্লুইস গেটগুলো রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অকেজো হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি অনেক গেটের যন্ত্রপাতি চুরি হয়ে গেছে। এতে কৃষি কাজে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর, রাজৈর, কালকিনি, শিবচর ও ডাসার উপজেলায় কাগজে-কলমে ১৭টি নদনদী থাকলেও বর্তমানে দৃশ্যমান ১০টি। এর মধ্যে পদ্মা, পালরদী, আড়িয়াল খাঁ, ময়নাকাটা, বিষারকান্দি ও কুমার নদ উল্লেখযোগ্য। এসব নদনদী ঘিরে জেলার ৫ উপজেলায় ৩৪টি স্লুইস গেট নির্মাণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২৯টি পুরোপুরি অকেজো, আর বাকি ৫টিও কার্যত ব্যবহারযোগ্য নয়।

মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের কুমার নদের ওপর ব্রিটিশ আমলে নির্মিত স্লুইস গেটটি বহু বছর ধরে বন্ধ পড়ে আছে। পলি পড়ে এবং মরিচা ধরে এটি সম্পূর্ণ অচল হয়ে গেছে, চারপাশে লতাপাতায় ঢেকে গেছে। একই ইউনিয়নের চোকদার ব্রিজ এলাকার স্লুইস গেটসহ সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের কুলপদ্বি এবং চরমুগরিয়া এলাকার গেটগুলোর অবস্থাও একই। যন্ত্রপাতি চুরি হয়ে গেছে, আবার অনেক গেট নদীর গতিপথ পরিবর্তনের কারণে অকার্যকর হয়ে পড়েছে।

মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের কুমার নদের ওপর ব্রিটিশ আমলে নির্মিত স্লুইস গেটটি বহু বছর ধরে বন্ধ পড়ে আছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের কুমার নদের ওপর ব্রিটিশ আমলে নির্মিত স্লুইস গেটটি বহু বছর ধরে বন্ধ পড়ে আছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

মস্তফাপুরের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, “স্লুইস গেটটি সচল থাকলে কৃষিকাজে আমাদের অনেক উপকার হতো। এখন কোনো কাজে আসছে না।”

চোকদার ব্রিজ এলাকার বাসিন্দা মো. আরিফ বলেন, “আমি বোঝার পর থেকেই এই স্লুইস গেটটি বন্ধ। মেরামতের কোনো উদ্যোগ দেখিনি। কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হলেও কারও মাথাব্যথা নেই।”

মাদারীপুরের ইতিহাস গবেষক সুবল বিশ্বাস বলেন, “বেশির ভাগ স্লুইস গেট ব্রিটিশ আমলে নির্মিত। এগুলো দেশের সম্পদ ও ঐতিহ্য—সংরক্ষণ করা জরুরি।”

পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাদারীপুর শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী সানাউল কাদের খান জানান, নতুন করে স্লুইস গেট নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে, অনুমোদন মিললেই কাজ শুরু হবে।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button