শিরোনাম
দ্বিতীয় দিনের মতো চন্দ্রঘোনা-রাইখালী নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধকলকাতায় কার্যালয় খুলেছে আওয়ামী লীগ: বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনবাগেরহাটে আপ বাংলাদেশের কমিটি গঠননড়াইলে পুকুর থেকে রাজমিস্ত্রির লাশ উদ্ধাররোজ লিপস্টিক ব্যবহারে ঠোঁট কালচে হয়ে যাচ্ছে? যেভাবে ঠোঁটের যত্ন নিলে ফিরবে হারানো সৌন্দর্যনওগাঁ সীমান্তে নারী-শিশুসহ ১৮ জনকে পুশইনছয় মাসের মধ্যে স্টারলিংক ইন্টারনেট পাবে পাহাড়ের ১০০ স্কুলবহুল প্রতীক্ষিত জিপিটি-৫ বিনা মূল্যে পাবেন উইন্ডোজ ১১ ব্যবহারকারীরাবিকল টয়লেটের ফ্লাশ, এক ঘণ্টা উড়ে ফিরে এল বিমানের ফ্লাইটবিশ্বকাপে বাংলাদেশ ম্যাচের ভেন্যু নিয়ে বড্ড ঝামেলায় ভারত-আইসিসি

প্রি-পেইড মিটার নিয়ে রংপুরে গ্রাহকদের ক্ষোভ

প্রি-পেইড মিটার নিয়ে রংপুরে গ্রাহকদের ক্ষোভ

প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে গ্রাহকদের উৎসাহিত করার কথা থাকলেও রংপুরে এমন পদক্ষেপ তো দূরের কথা উল্টো গ্রাহকদের আপত্তি সত্ত্বেও ভয়ভীতি দেখিয়ে এসব মিটার স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে নেসকোর বিরুদ্ধে। এতে গ্রাহকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।

গ্রাহকেরা বলছেন, ডিজিটাল প্রি-পেইড মিটারে প্রতিনিয়ত নানা ধরনের চার্জ কেটে নেওয়া হচ্ছে। এতে মাস শেষে বিদ্যুৎ বিল বেড়ে যাচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ। শুধু তা-ই নয়, পুরোনো সচল মিটার বাদ দিয়ে জোর করে বসানো হচ্ছে নতুন মিটার। তাঁদের দাবি, এটি একটি ‘লুটপাট প্রকল্প’, যা বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে হাজার কোটি টাকা খরচ করে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রি-পেইড মিটার প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক গোলাম রব্বানী মুসা বলেন, জনগণের মতামত উপেক্ষা করে এভাবে প্রযুক্তি চাপিয়ে দেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। একই সঙ্গে ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলের এই প্রকল্প দ্রুত বাতিলের দাবি জানান তিনি।

প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলনে নামা গ্রাহক আইয়ুব আলী বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার বলেছি, এই মিটার চাই না। তারপরও ভয় দেখিয়ে, চাপ দিয়ে এই মিটার বসানো হচ্ছে। এর ফলে বিগত সময়ে জনগণের টাকায় কেনা যে সচল ডিজিটাল মিটারগুলো অপসারণ করা হচ্ছে। তাতে কোটি কোটি টাকার অপচয় হচ্ছে। যার বোঝা জনগণকেই ভুগতে হবে।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডিজিটাল প্রি-পেইড মিটার প্রকল্পটি শুরু হয় ২০১৮ সালে। প্রায় ৮৭৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকার এই প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালে। পরে সময় বাড়িয়ে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে প্রায় ৬ লাখ মিটার বসানো হয়েছে। আরও সাড়ে ৮ লাখ মিটার স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, তৎকালীন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ও ক্ষমতাসীন শেখ পরিবারের কয়েকজন সদস্যের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে ছিল প্রি-পেইড মিটার-বাণিজ্য।

এদিকে নিম্নমানের প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের বিষয়ে ভোক্তা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ জুন নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালককে চিঠি দেয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। চিঠিতে সাত কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। তবে নেসকো সেই চিঠির কোনো জবাব না দিয়ে ৪ জুলাই একটি অফিস আদেশ জারি করে, যেখানে বলা হয়, নতুন সংযোগ ও পুরোনো মিটার প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে শুধু স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটারই ব্যবহার করা হবে।

এ বিষয়ে বিইআরসির উপপরিচালক রফিকুল আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা নিয়ম অনুযায়ী চিঠি দিয়েছি, কিন্তু তারা এখনো উত্তর দেয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আবারও চিঠি দেওয়া হবে। জবাব না দিলে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

নেসকোর প্রকল্প পরিচালক হাসিবুর রহমান বলেন, ‘এটি সরকারের অনুমোদিত প্রকল্প। আমরা এটি বাস্তবায়ন করব। না বুঝেই এটা নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে। প্রি-পেমেন্ট মিটার ছাড়া গ্রাহকেরা যেন অন্য কোনো মিটার প্রত্যাশা না করেন।’



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button