শিরোনাম
বেরোবির সাবেক উপাচার্য কলিমউল্লাহ গ্রেপ্তারপাঁচ ডিভিশন সেনা মোতায়েন করে ৫ মাসে গাজা দখলের পরিকল্পনা নেতানিয়াহুরস্বামীর বসতবাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতাআইসিসির দ্বিস্তরী কাঠামো নিয়ে ইংল্যান্ডের দুশ্চিন্তামেজর সাদিকের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার দেখাল পুলিশ, ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবেইনস্টাগ্রামে রিপোস্ট সুবিধাসহ যুক্ত হলো নতুন তিন ফিচারএক বছরেও সন্ধান মেলেনি শাহে আলমের, অসহায় পরিবারনিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রতিশোধ নিতে নামবে জিম্বাবুয়ে, খেলা দেখবেন কোথায়উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা, সচিবালয়ে কঠোর নিরাপত্তাবাংলাকে ‘বাংলাদেশি ভাষা’ বলায় কলকাতায় স্টেডিয়ামে প্রতিবাদী ব্যানার টাঙাল ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকেরা

পাবলিক পরীক্ষা চলাকালে কলেজের ভেতরে বিএনপির সমাবেশ

পাবলিক পরীক্ষা চলাকালে কলেজের ভেতরে বিএনপির সমাবেশ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজে পাবলিক পরীক্ষা চলাকালে ১৪৪ ধারা অমান্য করে জেলা বিএনপি জনসমাবেশ করেছে। এতে ক্ষোভ জানিয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। বুধবার (৬ জুলাই) বিকেলে স্নাতক চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলার সময় কলেজ চত্বরে জনসমাগম করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় উচ্চ শব্দে মাইক ব্যবহার করে বক্তৃতাও দেন নেতারা।

জানা গেছে, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র-জনতার বিজয় দিবস’ উপলক্ষে জেলা বিএনপির দুটি গ্রুপ পৃথকভাবে সমাবেশ ও বিজয় শোভাযাত্রার আয়োজন করে। জেলা বিএনপির ব্যানারে সদস্যসচিব রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে বিকেলে কলেজ মাঠ থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। এটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শান্তির মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

এর আগে জেলার বিভিন্ন উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন থেকে নেতা-কর্মীরা এসে কলেজ মাঠে জড়ো হন। বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিট থেকে তাঁরা কলেজে ঢুকতে থাকেন। পরে ৫টা ৭ মিনিট থেকে রফিকুল ইসলামসহ অন্য নেতারা বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। সেখান থেকেই বের হয় বিজয় শোভাযাত্রা।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুর ২টা থেকে ৬টা পর্যন্ত স্নাতক চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা চলছিল। এর মধ্যেই বিএনপির কর্মসূচি শুরু হয় এবং মাইকিং চলতে থাকে। পরীক্ষার সময় কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছিলেন পুলিশ সদস্যরাও।

রানিহাটি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘পরীক্ষার হলে বসে খাতায় লিখছিলাম। হঠাৎ বাইরে থেকে মাইকের প্রচণ্ড শব্দ আসতে থাকে। এতে খুব বিরক্ত লাগছিল। এভাবে পরীক্ষা চলাকালে মাইক ব্যবহার একদমই উচিত হয়নি।’

শাহনেয়ামতুল্লাহ কলেজের এক পরীক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমাদের কক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক বলছিলেন, এভাবে আইন অমান্য করে কলেজ চত্বরে সমাবেশ ঠিক হয়নি। রাজনৈতিক দলগুলোর আরও সচেতন হওয়া দরকার ছিল।’

এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘পাবলিক পরীক্ষা চলাকালে ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকে। এ সময় একটি রাজনৈতিক দল কলেজ চত্বরে জনসমাগম করেছে। মূল ফটকের নির্মাণকাজ চলায় অন্য গেট খোলা ছিল, সেখান দিয়ে যে কেউ প্রবেশ করতে পেরেছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত ছিল আরও দায়িত্বশীল আচরণ করা।’

অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিকেল ৫টার পর পরীক্ষা শেষে সমাবেশ করেছি। এর জন্য আমরা প্রশাসনের অনুমতিও নিয়েছি।’

তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভিন্ন বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘পরীক্ষা চলাকালে কলেজ চত্বরে যেকোনো ধরনের সমাবেশ বেআইনি। কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের বিষয়টি অবহিত করলে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতো। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের কিছু জানায়নি।’



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button