শিরোনাম
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে ট্রাম্পের কোনো ভূমিকা নেই: পার্লামেন্টে জয়শঙ্করআগামী ১১ দিন নৈরাজ্যের আশঙ্কা, ঠেকাতে এসপিদের এসবির চিঠিকঙ্গো-রুয়ান্ডার শান্তি চুক্তির ফাঁকে খনিজ সম্পদ লুটের ধান্ধায় ট্রাম্পফারাজ করিমের ঘরের দরজায় ঝুলছে দুদকের নোটিশমুক্তিপণ নেওয়ার পরও ৩৫ জিম্মিকে হত্যা করল অপহরণকারীরাওয়াক্ফ এস্টেটগুলোর সংকট উত্তরণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত, দ্রুত সমাধান চাইলেন মোতোয়ালিরাসুন্দরগঞ্জে ১৩৩ বস্তা টিএসপি সার জব্দগণঅভ্যুত্থানের অঙ্গীকার লঙ্ঘিত হলে জেনজিরা আবার রাজপথে নামবে: মঞ্জুইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিতসাদিক খান ঘৃণ্য লোক, ভয়াবহ কাজ করছেন: ট্রাম্প

মস্কো-পিয়ংইয়ং সরাসরি বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু হলো

মস্কো-পিয়ংইয়ং সরাসরি বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু হলো

উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে ঘনিষ্ঠতা আরও এক ধাপ এগোল। আজ রোববার মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে নিয়মিত উড়োজাহাজ চলাচল চালু করল রাশিয়া। রুশ পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নর্ডউইন্ড এয়ারলাইনস পরিচালিত এই রুটে প্রতি মাসে একটি করে ফ্লাইট চলবে।

মস্কোর শেরেমেতেভো বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করা প্রথম ফ্লাইটটিতে ছিলেন ৪০০ জনেরও বেশি যাত্রী। যদিও এটি নিয়মিত রুট হিসেবে চালু করা হয়েছে, তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এর নেপথ্যে রয়েছে কূটনৈতিক সম্পর্কের নতুন মাত্রা।

সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার নতুন সমুদ্রসৈকত পর্যটনকেন্দ্র ‘ওয়নসান-কালমা’ সফর করেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। সেখানে কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি রুশ পর্যটকদের ওই রিসোর্টে ভ্রমণে উৎসাহিত করার প্রতিশ্রুতি দেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই অবকাঠামো ঘিরেই পর্যটনের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের চেষ্টা করছেন কিম।

প্রায় ২০ হাজার পর্যটকের ধারণক্ষম রিসোর্টটি কিম জং উনের ‘অর্থনৈতিক মুক্তির প্রকল্প’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার চাপে থাকা উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি মহামারিজনিত বিধিনিষেধ ধীরে ধীরে শিথিল করছে এবং সীমান্ত পুনরায় খুলতে শুরু করেছে। তবে আন্তর্জাতিক পর্যটন পুরোপুরি চালুর বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।

এর আগেও ২০২৩ সালে রাশিয়ার ভ্লাদিভোস্টক ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে আকাশপথে যোগাযোগ পুনরায় শুরু হয়েছিল। করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল ওই পথ।

তবে আকাশপথে এই যোগাযোগকে কেবল পর্যটনের প্রসার হিসেবে দেখছেন না বিশ্লেষেকরা। তাঁদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে সামরিক সহযোগিতা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় নিজেদের বন্ধুত্বকে আরও শক্তিশালী করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে মত তাদের। ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে পিয়ংইয়ং রাশিয়াকে অস্ত্র ও লোকবল সহায়তা দিচ্ছে—যা আন্তর্জাতিক পরিসরে নতুন উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button