[ad_1]
অমাবস্যার প্রভাব এবং অতিবৃষ্টির কারণে পিরোজপুরে নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিক বেড়েছে। উত্তরাঞ্চলের ঢলে নেমে আসা পানি এবং অমাবস্যার প্রভাবে জোয়ার ও টানা বর্ষণে পিরোজপুরের সাত উপজেলার শতাধিক গ্রাম পানির নিচে চলে গেছে।
আজ শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত বলেশ্বর ও কচা নদীর টগড়া-চরখালী ফেরিঘাট এবং ভান্ডারিয়া উপজেলার তেলিখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন চরাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, নদীর পানি ৪ থেকে ৫ ফুট পর্যন্ত বেড়েছে। নদীতীরবর্তী গ্রামগুলো জোয়ারের অতিরিক্ত পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
পিরোজপুর সদর, ইন্দুরকানী, কাউখালী, মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, নাজিরপুর ও নেছারাবাদ উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, খেলার মাঠ, মাছের ঘের, বসতবাড়ির আঙিনা, বাগান ও সবজিখেত পানিতে ডুবে গেছে। গত ৪৮ ঘণ্টায় জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কচা, বলেশ্বর, কালীগঙ্গা, তালতলা, মধুমতী ও সন্ধ্যা নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪-৫ ফুট বেড়েছে। এতে করে নদীভাঙনও বেড়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পানি না কমলে ক্ষয়ক্ষতি আরও বাড়তে পারে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শিপন চন্দ্র ঘোষ জানান, বর্ষা ও জোয়ারের অতিরিক্ত পানিতে উঠতি আউশ ধান এবং রোপণ করা আমনের বীজতলার জমি অন্তত এক সপ্তাহ পানিতে নিমজ্জিত থাকলে তা পচে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান বলেন, ‘যেকোনো ধরনের ক্ষতি বা পানিবন্দী পরিবারকে সর্বাত্মক খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকেও সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছি। সম্ভাব্য পরিস্থিতির কথা বিবেচনায় রেখে জেলার বিভিন্ন উপজেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। মৎস্যচাষিদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।’
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]