[ad_1]
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং আওতাধীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কার্যালয়ের সাধারণ প্রশাসনের ১১টি ক্যাটাগরিতে মোট ৪৬টি শূন্য পদে নিয়োগের লক্ষ্যে গতকাল শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল ১০টায় লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা শহরের বিভিন্ন কেন্দ্রে আয়োজিত এ পরীক্ষায় প্রায় পাঁচ হাজার চাকরিপ্রত্যাশী অংশগ্রহণ করেন।
তবে পরীক্ষার লিখিত ফলাফল প্রকাশের পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট ঘিরে গুজব ছড়াতে শুরু করে। ২৬ জুলাই সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজে লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই মো. মিজানুর রহমান নামের একটি আইডি থেকে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে দাবি করা হয়, তাঁর পরীক্ষার রোল নম্বর 1100045। তিনি পাস করতে না পারলেও তাঁর সামনের রোল নম্বরধারী পরীক্ষার্থী (1100044) পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন, অথচ তাঁকে পাস দেখানো হয়েছে।
পোস্টটি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় এবং নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। তবে জেলা প্রশাসনের তদন্তে বেরিয়ে আসে ভিন্ন তথ্য। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের হাজিরা তালিকা ও সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা যায়, রোল নম্বর 1100044 পরীক্ষার্থী সেদিন উপস্থিত ছিলেন, অনুপস্থিত ছিলেন 1100046 রোলধারী।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করার পর অবশ্য ওই গুজব ছড়ানো পোস্টদাতা তাঁর পোস্ট সরিয়ে ফেলেন এবং ভুল-বোঝাবুঝির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে নতুন একটি পোস্ট দেন।
পোস্টদাতা মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সঙ্গে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী বলেন, ‘সরকারি নিয়োগে স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও মেধার ভিত্তিতেই হবে চূড়ান্ত নির্বাচন। তদবিরের কোনো সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ঘটনায় আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং ভবিষ্যতে কেউ এমন গুজব ছড়ালে তার বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]