[ad_1]
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, ‘অস্থিরতা তৈরির জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এআই দিয়ে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত বানিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। যা ঘটে তা প্রচার করলে এই সমস্যা কমে আসবে। সত্য তথ্য তুলে ধরতে হবে। আর কিছু উসকানিদাতা তো থাকবেই। তারা চাইবে সমস্যা তৈরি করার জন্য। যারা পুলিশের সঙ্গে মানুষের বিভেদ করতে চায়, তাদের বলব আপনারা নিজেরা নিজেরা যা করেন, পুলিশের সঙ্গে কোনো বিভেদ করবেন না। আমাদের কাজ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। আপনাদের কাজ জনগণের সমর্থন আদায় করা।’
আজ শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘সারা দেশে লুট হওয়া ও জুলাই আন্দোলনকারীদের দমাতে সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আমরা চেষ্টা করছি। নির্বাচনের আগে আরও অস্ত্র উদ্ধার করা হবে। নির্বাচনের দায়িত্ব শুধু পুলিশের না, সবচেয়ে বড় দায়িত্ব যারা নির্বাচন করবেন। এরপর নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন। সবাই যদি সহযোগিতা করে, তাহলে আমরা ভালো নির্বাচন আয়োজন করতে পারব।’
৫ আগস্টের পর হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলার বিষয়ে বলেন, ‘কয়েকটি মামলার বিচার শুরু হয়ে গেছে। যেখানে একটি হত্যা মামলার ২০ জন আসামি হওয়ার কথা, সেখানে আসামি দেওয়া হয়েছে ২০০ জন। এতে তদন্তে সময় বেশি লাগে। আমরা বলেছি, নিরপরাধ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়, সে জন্য আমাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হচ্ছে। স্বার্থান্বেষী মহল নিজেদের স্বার্থে নিরীহ ব্যক্তিদের আসামি করেছে। তারা যদি আসল আসল ব্যক্তিদের নাম দিত, তাহলে এত সমস্যা হতো না।’
এর আগে এদিন র্যাব-১১ কার্যালয় পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা। সেখানে তিনি বলেন, ‘ভারত থেকে গত এক মাসে ১৫ শ বাংলাদেশিকে পুশ ইন করানো হচ্ছে, এই তথ্যটা সঠিক। তবে যেসব বাংলাদেশি ভারতে রয়েছে, তাদের তো আমাদের নিতে হবে। সেটা ১০ কিংবা ২০ বছর পরে হোক। আমাদের দেশিদের সঙ্গে যেসব রোহিঙ্গাদের পাঠানো হয়েছে, তাদের আমরা গ্রহণ করছি না, তাদের ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছি।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ভারতকে বলেছি, আমাদের বাংলাদেশের কোনো নাগরিক যদি ওই খানে থেকে থাকে, তাহলে একটা নিয়মের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিতে। যেমনটা আমরা ভারতীয়দের নিয়মের মধ্যে পাঠিয়ে থাকি। কিন্তু তারা নিয়মের মাধ্যমে না পাঠিয়ে নদীর পাড়ে, জঙ্গলে ফেলে যায়—এটা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য না। এ বিষয়ে আমরা প্রতিবাদ করে যাচ্ছি। আমাদের প্রতিবাদে কিছুটা কাজ হচ্ছে এবং পুশ ইনের সংখ্যাটা কমে আসছে।’
এ সময় উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন র্যাবের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুর রহমান, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার প্রমুখ।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]