[ad_1]
আন্দ্রে রাসেল একটা ব্যাট উপহার দিয়েছিলেন টিম ডেভিডকে। সেই ব্যাট দিয়েই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে রীতিমতো খুন করলেন! গত বছর নভেম্বরের পর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ব্যাট করতে নামলেন ডেভিড। পরের ঘটনা উঠে গেছে রেকর্ড বইয়ে। মাত্র ৩৭ বলে তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। ১৬ বলে করেছেন ফিফটি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম সেঞ্চুরি ও ফিফটির রেকর্ড এটি। যার সৌজন্যে অস্ট্রেলিয়া পেয়েছে ৬ উইকেটের দারুণ জয়।
ডেভিডের আগে সেঞ্চুরি করেছিলেন শাই হোপ। তাঁর সেঞ্চুরি ও ব্রেন্ডন কিংয়ের ফিফটির ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪ উইকেটে ২১৪ রানের বড় সংগ্রহ পায়। ডেভিডের তাণ্ডবে অস্ট্রেলিয়া ২৩ বল হাতে রেখেই ২১৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে। দুই ম্যাচ হাতে রেখে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিল সফরকারীরা।
সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে টস জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মিচেল মার্শ। দুই ওপেনার কিং ও হোপের ১২৫ রানের জুটিতে উড়ন্ত শুরু পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১২ তম ওভারে ৩২ বলে ৬২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে আউট হন কিং। ইনিংসে ছিল ৬টি ছক্কা ও ৩টি চার।
হোপ অবশ্য শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৫৭ বলে ১০২ রানে। ৫৫ বলে করেন সেঞ্চুরি। টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করতে মেরেছেন ৬টি ছক্কা ও ৮টি চার। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে নাথান এলিস, অ্যাডাম জাম্পা ও মিচেল ওয়েন ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
২১৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ের শুরু ছিল ঝোড়ো। পাওয়ার প্লেতে তারা যোগ করে ৬৬ রান। তবে হারায় ৩টি উইকেট। পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন ডেভিড। পঞ্চম উইকেটে মিচেল ওয়েনের সঙ্গে গড়েন ৪৬ বলে ১২৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। টি-টোয়েন্টিতে পঞ্চম উইকেটে এটি অস্ট্রেলিয়ার এখন সর্বোচ্চ রানের জুটি। এ উইকেটে আগের ৯৭ রানের জুটির সঙ্গেও আছেন ডেভিড। তাঁর সঙ্গী ছিলেন মিচেল মার্শ।
১৬.১ ওভারে জিতে যায় অস্ট্রেলিয়া। ১৬ বলে ৩ চার ও ৬ ছয়ে অস্ট্রেলিয়ার দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি করেন ডেভিড। ৩৭ বলে ১০২ রানে অপরাজিত থাকেন। ইনিংসে ছিল ১১ ছক্কা ও ৬টি চার। এটি অস্ট্রেলিয়ার এখন দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড কুড়ি ওভারের ম্যাচে। ডেভিড পেছনে ফেলেছেন জশ ইংলিসের ৪৩ বলে করা সেঞ্চুরি। স্বীকৃত ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে এটি প্রথম সেঞ্চুরির ডেভিডের। ১৬ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৬ রানে অপরাজিত ছিলেন ওয়েন।
ম্যাচসেরা ডেভিড বললেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলতে নামার পর মাঠে দারুণ উপভোগ করছিলাম। সত্যি বলতে, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে শতরান করার সুযোগ পাব ভেবেই দেখিনি, তাই দারুণ রোমাঞ্চিত বোধ করছি। পিচটা ভালো ছিল, সঙ্গে ছোট সীমানা—তাই নিজের শক্তির ওপর ভরসা রাখতে হতো। ওয়ার্নার পার্ক ব্যাটিংয়ের জন্য দারুণ একটি ভেন্যু, আর সিপিএলে এখানে খেলার অভিজ্ঞতা ছিল আমার জন্য কাজে দিয়েছে। আমি বহুদিন ধরে পাওয়ার হিটিং নিয়ে কাজ করেছি, এখন শট নির্বাচনের দিকেও মনোযোগ দিচ্ছি। ড্রে রাসেলের সেই ব্যাটটা আমি এক বছর ধরে নিয়ে ঘুরছি, আর আজ মনে হলো সেটি ব্যবহারের সবচেয়ে উপযুক্ত সময়!’
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]