[ad_1]
ফেনীর পরশুরাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত মো. ইয়াছিন লিটনের (৪৫) মরদেহ ২১ ঘণ্টা পর ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভারতের বিলোনিয়া চেকপোস্ট এলাকায় মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। বিজিবি ও পুলিশের উপস্থিতিতে লিটনের বাবা মনির আহম্মদ ছেলের মরদেহ গ্রহণ করেন।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ফেনীর পরশুরাম উপজেলার গুথুমা সীমান্তে ২১৬৪ /৩-এস পিলার অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন ইয়াছিন লিটন, জাকির হোসেন মিল্লাত (২০) ও আফছার (৩০) নামের তিনজন। তাঁরা সীমান্তবর্তী তারকাঁটা বাউন্ডারির কাছে পৌঁছালে বিএসএফ সদস্যরা গুলি ছোড়েন। এতে গুলিবিদ্ধ হন লিটন। পরে বিএসএফ তাঁকে ভারতের বিলোনিয়ার একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। এ সময় গুলিতে আহত হন মিল্লাত ও আফছার। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিল্লাত মারা যান। আফছারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহত মিল্লাত পরশুরাম পৌরসভার বাসপদুয়া গ্রামের ইউসুফ মিয়ার ছেলে এবং লিটন মনির আহম্মদের ছেলে। আহত আফছার একই এলাকার মৃত এয়ার আহম্মদের ছেলে।
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম বলেন, বিএসএফ মরদেহ হস্তান্তর করেছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তা ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ফেনী ব্যাটালিয়নের (৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, মরদেহ হস্তান্তরের সময় বিএসএফের ৪৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এ এস বীরেন্দ্র সিং, ভারতের বিলোনিয়া থানার ওসি শিবু রঞ্জন দে, পরশুরাম থানার ওসি মোহাম্মদ নুরুল হাকিমসহ দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]