[ad_1]
নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিভিন্ন ফুটপাত ও রেলপথের পাশের অংশ দখল করে গড়ে উঠেছে ৫ শতাধিক অস্থায়ী দোকান। এসব দোকানের বেশির ভাগেই বৈধ বিদ্যুৎ-সংযোগ নেই। তবে দোকানগুলোতে দিনভর চলে বৈদ্যুতিক পাখা আর সন্ধ্যা হলেই জ্বলে ওঠে বাতি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, একদিকে যখন বিদ্যুতের ঘাটতিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে, তখন এসব দোকানে চলছে অবাধে চোরাই বিদ্যুতের ব্যবহার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিটি দোকান থেকে অবৈধ সংযোগের জন্য দৈনিক ৭০-৮০ টাকা আদায় করছে একটি চক্র। এতে সব মিলিয়ে মাসে প্রায় ৫ লাখ টাকা চাঁদা তুলছে তারা। এই টাকা চলে যায় বিদ্যুৎ অফিস ও রেলওয়ের অসাধু কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার পকেটে।
জানা যায়, রেলওয়ে স্টেশনসংলগ্ন ২ নম্বর রেলওয়ে গুমটি থেকে ১ নম্বর রেলওয়ে গুমটির বঙ্গবন্ধু চত্বর পর্যন্ত রেলপথের ওপর ও দুই পাশে, সৈয়দপুর প্রধান ডাকঘরের সামনের রাস্তা ও ফুটপাতে, রেলওয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের দেয়াল ঘেঁষে গড়ে তোলা হয়েছে প্রায় ৫০০ অস্থায়ী দোকান। বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে অবৈধ সংযোগ দেওয়া হয়েছে এসব দোকানে।
১ ও ২ নম্বর রেলক্রসিং এবং স্থানীয় পোস্ট অফিসের সামনের সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, রেলপথের ওপর পুরোনো কাপড়ের দোকান, সড়কের ওপর ফল ও শরবতের দোকান। বিদ্যুতের সংযোগ তার ঝুলছে প্রতিটি দোকানে। আর এতে জ্বলছে বৈদ্যুতিক বাতি। কিছু কিছু দোকানে ক্রেতা আকর্ষণ করতে রঙিন আলো জ্বেলে রাখা হয়েছে। অনেকটা ঝলমলে রঙিন হাটের মতো। চলছে আখের শরবত ও ফলের রসের শরবত বানানোর মেশিন। কিন্তু কোথাও কোনো বিদ্যুতের মিটার দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) সৈয়দপুর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের প্রকৌশলী উজ্জ্বল আলী বলেন, ‘আমার এ কর্মস্থলে আসা বেশি দিন হয়নি। তাই এসব সংযোগের বিষয়ে আমার জানা নেই। আপনি অফিসে এসে অবৈধ সংযোগের বিষয়ে তথ্য দিলে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মরত কারও যদি সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তবে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।’
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]