শিরোনাম
বড়াইগ্রামে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় ভ্যানচালক নিহতরাজনীতিতে নারী ও তরুণদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নপুলিশ হত্যার দায় ছাত্র-জনতার ওপর চাপানোর চেষ্টা চলছে: নাহিদ ইসলামমাথায় হাত বুলিয়ে, ধমক দিয়ে কাজ করাতে হচ্ছে: সালেহউদ্দিন আহমেদ‘নিম্ন ও উচ্চ আদালতের বিচারকদের সম্পর্ক দাস-প্রভুর মতো’, ভারতীয় বিচারপতির ক্ষোভচ্যাটজিপিটিকে ব্যক্তিগত পরামর্শক বানাবেন না, সতর্ক করলেন অল্টম্যানবিদেশ থেকে মানুষ ভাড়া করে এনে দেশ চালানো যায় না: মির্জা ফখরুলআগে ঘুষ দিতে হতো ১ লাখ, এখন দিতে হয় ৫ লাখ: মির্জা ফখরুলআমরা রাতের বেলায় কিছু করতে চাই না: সিইসিপ্রেমিকাকে ডেকে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ, প্রেমিকসহ গ্রেপ্তার ৩

মার খেয়ে ফিরবেন না, পাল্টা মারুন: মিঠুন চক্রবর্তী

মার খেয়ে ফিরবেন না, পাল্টা মারুন: মিঠুন চক্রবর্তী

বলিউডের ‘ডিসকো ড্যান্সার’ এবার বাংলার ভোট রাজনীতিতে ‘পাঞ্চলাইন’ মারলেন। আজ শুক্রবার আরামবাগে একটি রাজনৈতিক সভায় বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর মন্তব্যে আবার ছড়াল উত্তাপ। বললেন, ‘মার খেয়ে বাড়ি ফিরবেন না। পাল্টা মার দিন। পারলে মারবেন।’ রাজ্যের তৃণমূল সরকারের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মঞ্চে দাঁড়িয়ে একের পর এক তোপ দেগে মিঠুন বলেন, এই সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত, রাজ্যে নারীদের কোনো সুরক্ষা নেই। ভোটার তালিকায় ভুয়া নাম ঢুকিয়ে গণতন্ত্রকে লুট করছে তৃণমূল।

বিহারে নির্বাচন কমিশনের তালিকা সংশোধনের জেরে বাদ পড়েছে ৫৬ লাখ ভুয়া ভোটারের নাম। সেই প্রসঙ্গ টেনে মিঠুন বলেন, বাংলাতেও খতিয়ে দেখা দরকার, কে কোথা থেকে এসেছে, কীভাবে এসেছে। রাজ্য সরকারকে তা মানতেই হবে।

এই বক্তব্যের মাধ্যমে বিজেপি কার্যত রাজ্যে এনআরসি এবং ভোটার যাচাই ঘিরে নতুন বার্তা দিতে চাইল বলেই রাজনৈতিক মহলের মত।

তবে পাল্টা ঘুঁটি সাজিয়ে তৃণমূল সংসদ সদস্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মিঠুন চক্রবর্তীকে আমি অভিনেতা হিসেবে শ্রদ্ধা করি, কিন্তু রাজনীতিতে তিনি একজন জোকার। বাংলার মাটির সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই। তৃণমূলের টিকিটে একবার রাজ্যসভার সদস্য হয়েছিলেন, পরে ইডি-সিবিআইয়ের ভয়ে পদ ছেড়ে পালিয়েছেন।’

ভোটের মুখে আবারও রাজনৈতিক হিংসা, নিরাপত্তা, নাগরিকত্ব ও ভুয়া ভোটার ইস্যুকে সামনে এনে বিজেপি তাদের পুরোনো আক্রমণাত্মক ছন্দে। আর সেই সুরেই হুংকার দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তারকা প্রভাব কাজে লাগিয়ে রাজ্যজুড়ে জনসংযোগ বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে বিজেপি। মিঠুনের মুখে এবার যে সরাসরি সংঘর্ষের ভাষা উঠে এল, তা রাজ্যের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী আবহে কাঁপন ধরাতে যথেষ্ট।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button