[ad_1]
রাজধানীর ডেমরায় আল আকসা টাওয়ার নামের নির্মাণাধীন এক ভবনে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে গণপিটুনিতে নিহত তরুণের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁর নাম মো. সোয়াদুল ইসলাম সোয়াদ (১৮)। বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থানার পূর্বহাটি গ্রামে।
ঘটনার এক দিন পর সোয়াদুল ইসলামের পরিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক থেকে তাঁর নিহত হওয়ার খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করে। এ ঘটনায় করা মামলায় আল মামুন (২৪) নামের নির্মাণাধীন ভবনটির এক ঠিকাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ডেমরা থানা–পুলিশ সূত্র বলছে, গত বুধবার দুপুরে মোবাইল ফোন চুরির সন্দেহে আল মামুনসহ আরও কয়েকজন মিলে সোয়াদুল ইসলামকে মারধর করেন। একপর্যায়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় সোয়াদুলের বাবা মো. মফিজুল ইসলাম গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ডেমরা থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। এর কয়েক ঘণ্টা পর ডেমরার বড়ভাঙ্গা এলাকা থেকে আল মামুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার বানিহালা গ্রামের মো. আবুল হাশেমের ছেলে।
নিহত তরুণের বাবা মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘১৫ দিন আগে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার থানারপাড় এলাকায় খালার বাড়িতে বেড়াতে যায় সোয়াদুল। গতকাল আমাদের আত্মীয়স্বজন ফেসবুক থেকে জানতে পারে, আমার ছেলের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে। তাকে নাকি মোবাইল চুরির অভিযোগে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
‘প্রথমে আমরা ঢামেক হাসপাতালে গিয়ে লাশ শনাক্ত করি। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি, বেশ কয়েকজন লোক আমার ছেলেকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে, যাদের অধিকাংশই পলাতক।’
এ বিষয়ে ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় ব্যক্তিদের কাছ থেকে খবর পেয়ে মরদেহের সুরতহাল শেষে তা ঢামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। এরপর মৃতের বাবা ডেমরা থানায় আসেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। তদন্তসাপেক্ষে গতকাল সন্ধ্যার পর আমরা নির্মাণাধীন ভবনটির ঠিকাদার আল মামুনকে গ্রেপ্তার করি।’
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]