হাতিয়ায় নিঝুম দ্বীপসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত


সাগরে নিম্নচাপের কারণে অস্বাভাবিক জোয়ারে নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে জোয়ারের পানিতে নিঝুম দ্বীপের প্রধান সড়কটি সম্পূর্ণ তলিয়ে যায়। একই অবস্থা হয় উপজেলার নলচিরা, সোনাদিয়া ও সুখচর ইউনিয়নে।
দ্বীপের বাসিন্দা এনায়েত হোসেন জানান, জোয়ারে নিঝুম দ্বীপের নামার বাজার এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বাজারের ওপরে রাস্তাটি দুই ফুট উচ্চতার পানিতে তলিয়ে যায়। মানুষের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে। এলাকার অনেক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
প্রধান সড়কের ওপর পানি ওঠায় প্রায় চার ঘণ্টা বন্ধ ছিল নামার বাজার থেকে বন্দরটিলা বাজারের যোগাযোগব্যবস্থা। নিঝুম দ্বীপের দক্ষিণ পাশে বেড়িবাঁধ না থাকায় অস্বাভাবিক জোয়ারে সহজে পানিতে প্লাবিত হয় চারপাশ। রাতের জোয়ারে একই অবস্থা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে উপজেলার নলচিরা ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের বাইরে তুফানিয়া গ্রামটি সম্পূর্ণ পানির নিচে তলিয়ে যায়। প্রায় চার ফুট উচ্চতায় রাস্তার ওপর দিয়ে পানি প্লাবিত হয় এই গ্রামে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইউনুছ জানান, অস্বাভাবিক জোয়ারে তুফানিয়া গ্রামের প্রতিটি ঘরবাড়ি-মসজিদ পানির নিচে তলিয়ে যায়। আজ শুক্রবার কোনো মসজিদে মানুষ জুমার নামাজ আদায় করতে পারেননি। অনেকে বেড়িবাঁধের ওপরে দাঁড়িয়ে সময় পার করেছেন। পানি নেমে যাওয়ার পর বাড়িঘরে ফিরছেন মানুষ।
একই অবস্থা বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল ঢালচর ও চরগাসিয়ায়। এই দুটি চরে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ বসবাস করে। বেড়িবাঁধ না থাকায় অস্বাভাবিক জোয়ারে সহজে তলিয়ে যায় লোকালয়।

চরগাসিয়া জনতা বাজারের ব্যবসায়ী রিয়াজ জানান, বেলা ১১টার মধ্যে চরে মাঠঘাট সম্পূর্ণ পানির নিচে তলিয়ে যায়। চরের অধিকাংশ মানুষ সরকারি আশ্রয়ণকেন্দ্রে অবস্থান করছেন। আবার জোয়ারের পানি নেমে যাওয়ার পর বাড়িঘরে ফিরে গেছেন।
জানতে চাইলে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘হঠাৎ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল হয়ে পড়েছে। লোকালয়ে পানি চলে এসেছে। এতে নিঝুম দ্বীপসহ বেশ কয়েকটি এলাকার মানুষ বিপদে রয়েছে। আমরা আমাদের মতো করে খোঁজখবর নিচ্ছি। প্রয়োজনে সব ধরনের সহযোগিতা পাঠানো হবে।’