শিরোনাম

কিশোরের ঝুলন্ত মরদেহ, চিরকুটে লেখা ‘মা ডেকেছিলেন স্বপ্নে, তাই তাঁর কাছে যাচ্ছি’

কিশোরের ঝুলন্ত মরদেহ, চিরকুটে লেখা ‘মা ডেকেছিলেন স্বপ্নে, তাই তাঁর কাছে যাচ্ছি’

বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চেয়েছিল শিবশরণ ভুতালি তালকোটি। সে লক্ষ্যেই নিজেকে প্রস্তুত করছিল সে। দশম শ্রেণিতে পেয়েছিল ৯২ শতাংশ নম্বর। ১৬ বছরের স্বপ্নবাজ এই কিশোর হঠাৎ আজ শুক্রবার জীবনের ইতি টানে। গলায় দড়ি দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করে সে। কারণ, তার মা। তিন মাস আগে জন্ডিসে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর।

এই শোক সহ্য করা কঠিন হয়ে পড়েছিল শিবশরণের জন্য। বিষণ্ন হয়ে থাকত সারাক্ষণ। সম্প্রতি মাকে স্বপ্নে দেখে সে। স্বপ্নে নাকি তার মা তাকে তাঁর কাছে যেতে বলেছে। মায়ের কাছে যাওয়ার জন্যই ‘আত্মহত্যা’!

কর্তৃপক্ষের বরাতে এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, মায়ের মৃত্যুর পর মহারাষ্ট্রের সোলাপুর শহরে দাদাবাড়িতে থাকত শিবশরণ। সেখান থেকেই আজ তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহের পাশে ছিল একটি চিরকুট।

তাতে লেখা, ‘আমি শিবশরণ। মৃত্যুকে বরণ করছি, কারণ, আমি আর বেঁচে থাকতে চাই না। আমার মা যখন মারা গিয়েছিলেন, তখনই আমার চলে যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমার চাচা আর দাদিকে দেখে তখন এই সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। আমি মরে যেতে চাইছি, কারণ, গতকাল আমি আমার মাকে স্বপ্নে দেখেছিলাম। তিনি জানতে চান, আমি এত মনমরা থাকি কেন। তিনি আমাকে তাঁর কাছে যেতে বলেন। তাই আমি মরে যাওয়ার কথা ভাবলাম। আমি আমার চাচা আর দাদির কাছে কৃতজ্ঞ। তাঁরা আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। অনেক আদর করেছেন।’

চিরকুটে চাচার উদ্দেশে একটি বার্তাও দেয় শিবশরণ। সে লেখে, ‘চাচা, আমি মারা যাচ্ছি। আমি চলে যাওয়ার পর আমার বোনকে সুখী রেখো। আমি তোমাকে একটা কথা বলতে চাই। দাদিকে বাবার কাছে পাঠিও না। তোমরা সবাই নিজেদের খেয়াল রেখো। আমার মা-বাবার চেয়েও বেশি কিছু তোমরা আমার জন্য করেছ।’

‘আমার মৃত্যুর জন্য কেবল আমিই দায়ী।’

পুলিশের ভাষ্য, মেডিকেলে পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল শিবশরণ।

এ ঘটনায় সোলাপুরে মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button