‘আবাসিক এলাকায় শুটিং বন্ধ করতেই হবে’


আবাসিক এলাকা হওয়ায় লাবণি শুটিং হাউসে শুটিং বন্ধ করার নোটিশ দিয়েছে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতি। তাদের এমন নির্দেশনার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীরা। নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ইন্ডাস্ট্রি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠন। শুটিং বন্ধের নির্দেশনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সাবেক সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম।
পাশাপাশি নাসিম জানিয়েছেন, আজ হোক কাল হোক, আবাসিক এলাকায় শুটিং বন্ধ করতেই হবে। বাণিজ্যিক শুটিং জোন গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।
অভিনেতা আহসান হাবিব নাসিম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘হুট করে উত্তরায় শুটিং বন্ধের নোটিশ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তবে আজ হোক কাল হোক, আবাসিক এলাকায় শুটিং বন্ধ করতেই হবে। এত বড় একটা ইন্ডাস্ট্রি আবাসিক এলাকায় দীর্ঘ মেয়াদে চলতে পারে না। এতে যেমন জনভোগান্তি হচ্ছে, তেমনি আবার শুটিং ইউনিটের পেশাদারত্ব বিঘ্নিত হচ্ছে। শিল্পী-কলাকুশলীদের কর্মঘণ্টা নির্ধারণ করা যাচ্ছে না, কমপ্লায়েন্স ইস্যুগুলো নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তাই শুটিং হাউস মালিক অ্যাসোসিয়েশন, প্রোডিউসার অ্যাসোসিয়েশন, শুটিং সংশ্লিষ্ট অংশীজন মিলে বাণিজ্যিক শুটিং জোন গড়ে তোলার উদ্যোগ নিতে হবে।’
বাণিজ্যিক শুটিং জোনের একটি ধারণাও তুলে ধরেছেন নাসিম। তাঁর মতে, ‘এফডিসির শুটিং ফ্লোর, কবিরপুরের শুটিং জোন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় (শুটিং হাউস পরিচালনায় যারা অভিজ্ঞ) পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগে দীপ্ত টিভির শুটিং জোন/ ফ্লোর, মানিকগঞ্জের ফিল্ম সিটি, পুবাইলের হাসনাহেনার মতো প্রফেশনাল আরও শুটিং জোন/ ফ্লোর গড়ে তুলতে হবে।’
এর আগেও বিভিন্ন আলোচনায় প্রসঙ্গটি তুলেছিলেন বলে জানান আহসান হাবিব নাসিম।
অন্যদিকে, নাট্যনির্মাতা সৈয়দ শাকিল জানালেন, উত্তরায় শুটিং হাউস বন্ধের নির্দেশনার বিষয়টি সমাধানের পথে। শুটিং ইউনিটের জন্য কিছু নির্দেশনার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
সৈয়দ শাকিলের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘রাত ৮টার পর রাস্তায় বা হাউসের ছাদে শুটিং না করা। রাত ১১টার মধ্যে শুটিং শেষ করা বাধ্যতামূলক। রাতে প্যাকআপের পর মালামাল লোডিংয়ের সময় যথাসম্ভব শব্দ কম করা। নামাজের সময়গুলোতে রাস্তায় শুটিং না করা। মিছিল/ মাইকিং বা রাস্তায় কোনো বড় আয়োজনের দৃশ্য আবাসিক এলাকার রাস্তায় না করা। একাধিক গাড়ির ক্ষেত্রে পার্কিং ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুভাবে করা। জনসাধারণের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করা।’
আগেও একাধিকবার এসব নির্দেশনা দেওয়া হলেও বিষয়গুলোতে তেমন গুরুত্ব দেননি শুটিং সংশ্লিষ্ট মানুষেরা।